একসময় দেশের ফুটবলে ভরা যৌবন ছিল। তখন খেলা হতো সারা দেশে, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ফুটবলাররা ঢাকার মাঠ মাতিয়ে হয়ে উঠতেন জাতীয় তারকা। এই পরম্পরায় চিড় ধরেছে ঝিমিয়ে পড়া জেলা ফুটবলের কারণে। এর মধ্যে আবার বিশেষ কিছু জায়গা বা অঞ্চল ছিল খুবই ফুটবল উর্বরা, তাদের ফুটবলার ছাড়া জাতীয় দলও কল্পনা করা যেতো না। ফুটবলের সেই আঁতুড়ঘরগুলোর ছন্নছাড়া রূপ ধরা পড়েছে সকাল সন্ধ্যার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বদিউজ্জামান মিলনের তদন্তে। শেষ কিস্তি বগুড়ার ফুটবল নিয়ে।
উৎসব, উন্মাদনা, গ্যালারি ভর্তি দর্শক-বগুড়ার ফুটবলে সেই দিন আর নেই। কোথায় যেন বিশাল এক শূন্যতা। গতি, ছন্দময় ফুটবল আর সাফল্য মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কবেই। স্থানীয় লিগ, টুর্নামেন্ট এ যেন দূর অতীতের গল্প। প্রকৃত সংগঠকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বগুড়ার ফুটবল থেকে। হারিয়ে গেছে সংগঠক। রাজনৈতিক কারণে প্রকৃত সংগঠকরা মাঠমুখী হতে পারেননা। ক্রীড়াঙ্গনে রাজনীতিকরণে বগুড়ার ফুটবল শুধু পিছিয়েই পড়েছে।
বগুড়ার ফুটবলের অতীত ইতিহাস
বগুড়ার ফুটবলের অতীত ইতিহাস ছিল সমৃদ্ধ। মাহবুবুর রহমান কালু খাঁ যিনি বড় কালু নামে পরিচিত। স্বাধীনতার আগে খেলেছেন কুচবিহার রাজার ফুটবল দলে। তখন তিনি কলকাতা রিপন কলেজের ছাত্র ছিলেন। এরপর একে একে ছোট কালু, সারোয়ার হোসেন, মাস্টার আইনুল, সাইফুল ইসলাম, শাজাহান আলী, শামসু, মতিন সওদাগরসহ অনেকে পূর্ব পাকিস্তানের আমলে কলকাতা লিগে খেলেছেন।
ষাটের দশকের এক দুপুরে ঢাকায় পা রাখেন ফুটবলার অমলেশ সেন। ফায়ার সার্ভিসের জার্সিতে ঢাকেশ্বরী কটন মিলের বিপক্ষে মাঠে নামেন সেবার। এভাবেই ঢাকায় প্রথম বিভাগ লিগে অভিষেক হয়ে যায় বগুড়ার ফুটবলার অমলেশ সেনের।
অমলেশ সেন স্কুল জীবনে ছিলেন দুর্দান্ত ফুটবলার। আন্তঃস্কুলে পাঁচ বছর টানা চ্যাম্পিয়ন হয় বগুড়া মিউনিসিপালিটি হাইস্কুল। ওই সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল অমলেশ সেনের। ঢাকায় তিনি ফায়ার সার্ভিস, ইস্ট এন্ড, মোহামেডান ও আবাহনীতে খেলেছেন।
অমলেশের পথ ধরে আফজাল হোসেন খেলেছেন সাধারণ বীমা ও আবাহনীতে। মোহাম্মদ শফি, নূর মোহাম্মদ, মনসুর আলী, ইউসুফ বাটুও ঢাকার ফুটবলে খেলেছেন। ইসমাইল হোসেন ইস্ট এন্ড ক্লাব ও সাধারণ বীমায় খেলেছেন। গোলরক্ষক মুকুল হোসেন, শহীদ, সেলিম, আবু তাহের, রফিকুল ইসলাম বাবু, মুকসেদ, ফজলুর রহমান- ঢাকায় খেলা বগুড়ার ফুটবলারদের নামের তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। ফজলু ছিলেন আবাহনীর গোলরক্ষক।
আশির দশক ছিল বগুড়ার ফুটবলের স্বর্ণযুগ। তখন এক সঙ্গে ঢাকায় খেলতেন ওহিদুল, দুলাল, জামাল, হিরু, কমল, শহীদুল, তাহেরুলদের মতো ফুটবলার।
এরপর নব্বইয়ের দশকে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরে খেলেছেন জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার শাহীনুর কবির শিমুল। তিনি খেলেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রে। জাতীয় দলে বগুড়া থেকে আরও খেলেছেন মাকসুদুল আলম বুলবুল। তিনি মুক্তিযোদ্ধা, আবাহনী ও সাধারণ বীমাতেও খেলেছেন।
বগুড়া থেকে জাতীয় দলে খেলা সর্বশেষ ফুটবলার নাবিব নেওয়াজ জীবন। তার বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জে। জীবন ২০২২ সালে জাতীয় দলে সর্বশেষ খেলেছেন। সিলেটে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ওই ম্যাচের পর আর ডাক পাননি জাতীয় দলে। আবাহনীতে খেলা জীবন বর্তমানে খেলছেন রহমতগঞ্জে।
বগুড়ার ফুটবলে রাজনীতির বিষ
বগুড়ার ফুটবলে রাজনীতির বিষবাষ্প ঢোকার শুরুটা হয়েছিল প্রায় ১৫ বছর আগে। যে বিষে জর্জরিত জেলার ফুটবল। জেলা ক্রীড়া সংস্থা বা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সর্বত্রই আওয়ামী লীগের নেতাদের দৌরাত্ম্য। বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার (ডিএসএ) অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি। যিনি বগুড়া জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) সাবেক সভাপতি।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মিলন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ্য। তিনি সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। এমন অনেক পদই আকঁড়ে বসে আছেন আওয়ামী লীগের কোনও না কোনও নেতা। যারা খেলার চেয়ে রাজনীতিকেই সব সময় প্রাধান্য দিয়েছেন। খেলার মাঠে সময় দেননি।
স্থানীয় ফুটবল একাডেমির কোচ রাকিব হোসেন মনে করেন এমন সংগঠকদের জন্যই ডুবতে বসেছে বগুড়ার ফুটবল, “আমাদের বগুড়ায় ফুটবল পিছিয়েছে শুধু রাজনীতিকরণের কারণে। কারণ এখানে রাজনীতিবিদরা তো খেলা বোঝে না। শুধু পদ পদবী নেওয়ার জন্য আসে। জীবনে কোনওদিন যারা খেলাধুলা করেনি উনি হয়ে যাচ্ছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সেক্রেটারি, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সেক্রেটারি। এদের কারণে জেলার প্রকৃত সংগঠক হারিয়ে গেছে। প্রকৃত সংগঠকরা মাঠমুখী হতে পারেনি।”
এক সময় চট্টগ্রাম আবাহনীতে খেলা রাকিব বগুড়া জেলা দলেও প্রায় ৭ বছর খেলেছেন। একজন ‘সি’ লাইসেন্স প্রাপ্ত কোচ তিনি। পাশাপাশি তিনি রেফারিও। কিন্তু বিনা দোষে তাকে জেলা ফুটবল থেকে দুই বছর নিষিদ্ধ করে রাখা হয় বলে দাবি তার। এর পেছনেও ছিল এসব রাজনৈতিক সংগঠকেরা, “তখন বঙ্গমাতা ফুটবলের জন্য জেলা দল গঠন করা হয়। ওই দলে আমার একাডেমির ছিল ১২ জন। ওদের বিভাগীয় পর্যায়ে খেলতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও কারণে তারা যায়নি খেলতে। যদিও কবে খেলা, ফুটবলাররা কখন কখন যাবে এসবের কিছুই জানতাম না আমি। তাছাড়া আমি সেই দলের কোচও ছিলাম না। শুধু আমার ফুটবলাররা ছিল। কিন্তু ওরা কেন গেল না, সেই দোষ আমাকে দেওয়া হয়।”
তিনি এরপর যোগ করেন, “মিটিংয়ে আমার কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি। আমার বিরুদ্ধে কোনও কারণ দর্শানো চিঠি দেওয়া হয়নি। আমাকে ২ বছরের জন্য জেলার সব রকমের খেলাধুলার কার্যক্রম থেকে বহিস্কার করা হয়। কোচিং, রেফারিং কোনও কিছু করতে দেওয়া হয়নি। আপনি যে দায়িত্বে ছিলেন না সেই কাজের জন্য আপনাকে সাসপেন্ড করে রাখা হলো।”
ভয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদও করতে পারেননি তিনি, “ এদের বিরুদ্ধে কথা বলতে যাবে কে? ডিসির বিরুদ্ধে, এমপির বিরুদ্ধে কে কথা বলবে? ”
ফুটবল লিগও অনিয়মিত
জেলা ক্রীড়া সংস্থ (ডিএসএ) ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) দ্বৈরথে খেই হারিয়েছে বগুড়ার ফুটবল। দেশের অন্য সব জেলাগুলোর মতোই বগুড়াতেও ডিএফএ ও ডিএসএর দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন। আর এই দ্বন্দ্বের বলি হচ্ছেন ফুটবলাররা। জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার মাকসুদুল আলম বুলবুল বলেন, “আমাদের সময় যখন ডিএসএ থেকে বড় অঙ্কের টাকা ফুটবল পেত। এরপর ডিএসএ আলাদা হয়ে গেল। ডিএফএর যারা চেয়ারে বসেছে এরা সব দলীয় লোকজন। কোনও স্পনসর আনারও যোগ্যতা রাখে না। তাই নিয়মিত ফুটবল লিগও হয়নি। কেউ তো আর নিজের পকেট থেকে টাকা নিয়ে লিগ করবে না।”
গত ১০ বছরে বগুড়ায় ফুটবল লিগ হয়েছে মাত্র ২ বার। এ মৌসুমে কোনও খেলা মাঠে গড়ায়নি। ২০২৩ সালের ফুটবল লিগ শেষ হয়েছে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে।
রাকিবের মতো বুলবুলও এসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সংগঠক হওয়ার জন্য দায়ী করলেন, “ বগুড়ার ফুটবল পিছিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ রাজনৈতিক সংগঠক। আমাদের সময় যখন খেলতাম তখন ডিএসএ বা ক্লাবে ব্যবসায়ীরা সভাপতি হতেন। তারা প্রচুর টাকা স্পনসর নিয়ে আসতো। সেটা সঠিকভাবে খরচরও হতো। কিন্তু এখন সব রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বড় বড় পদে। স্পনসরও আনতে পারেনা। ফুটবলও হয়না। আসলে বগুড়ার ফুটবল ধব্বংস হয়ে গেছে।”
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ মিলিয়ে বগুড়ায় ২৪ টা ক্লাব। কিন্তু নিয়মিত লিগ আয়োজন হয় না বলে ফুটবলাররাও হতাশ। বগুড়ার অনিয়মিত লিগের কথা স্বীকার করে নিলেন জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহ-সভাপতি খাজা আবু হায়াত হিরু, “বগুড়ার এক সময় নিয়মিত লিগ চালিয়েছি। স্কুল ফুটবল করেছি। ক্যাম্প করেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ আমল থেকে লিগে একটা গ্যাপ হয়েছে।“
টুর্নামেন্ট হারিয়ে গেছে বগুড়ায়
এক সময় বগুড়ায় স্থানৗয়ভাবে আয়োজন করা হতো আজাদ স্মৃতি গোল্ডকাপ, মহাস্থানগড় ট্রফি, সোহরাওয়ার্দী কাপ, মহসিন ট্রফি, জেলা প্রশাসক লিগ। এছাড়া বিভিন্ন বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট তো ছিলই। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সময়ে শুরু হয় সারা দেশে ৪ ফুট ১০ ইঞ্চির ফুটবল টুর্নামেন্ট এরশাদ কাপ। বগুড়ায় সেটা বেশ সাড়া ফেলেছিল।
জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার এনামুল হক নওগাঁ জেলার সন্তান। অথচ তিনি বগুড়ার বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতার আবিষ্কার।
বগুড়ার সাবেক ফুটবলার শহীদুল ইসলাম আক্ষেপ ভরে বলেন, “আগে আমরা প্রচুর টুর্নামেন্ট খেলতাম। কিন্তু এই প্রজন্মের ফুটবলাররা খেলার কোনও সুযোগই পায়না। বগুড়ার ফুটবল এখানেও পিছিয়ে পড়ছে।”
মাঠ সঙ্কটে ফুটবল
সারা দেশের মতো বগুড়ায় ফুটবলার উঠে আসার বড় অন্তরায় ভালো মানের মাঠের অভাব। বগুড়ার আলতাফুন্নেছা মাঠে খেলে উঠে এসেছেন অনেক প্রতিভাবান ফুটবলার। সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার অভাবে অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সেই মাঠ। এই খেলার মাঠটি পরিণত হয়েছে মেলা ও রাজনৈতিক জনসভার মাঠ। এর বাইরে মালতিনগর স্পোর্টিং ক্লাব মাঠ, করোনেশন স্কুল মাঠেও সেভাবে খেলাধুলা হয় না। যদিও শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের পাশের পুকুর ভরাট করে ফুটবল খেলার মাঠ বানানো হয়েছে। কিন্তু সেটাও পর্যাপ্ত নয়।
জাতীয় দলের ফুটবলার নাবিব নেওয়াজ জীবন দুঃখ করে বলছিলেন, “বগুড়ায় মাঠের অভাবে অনেক কিশোর ফুটবল খেলায় আগ্রহী হচ্ছে না। এখানে ফুটবলের জন্য কোনও মাঠ বরাদ্দ নেই। এটা দুঃখজনক। বগুড়ায় ফুটবল স্টেডিয়াম প্রয়োজন। খেলার মাঠ বাড়াতে হবে এখানে।”
খ্যাপে ঝুঁকছে ফুটবলাররা
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলের অভাবে বগুড়ায় ফুটবলারদের মধ্যে বেড়ে গেছে খ্যাপ খেলার প্রবণতা। কিন্তু সেখানে স্থানীয় একাডেমির কিশোর ফুটবলারদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
এভাবে খ্যাপ খেলে ফুটবলারদের আদৌ কোনও উপকার হচ্ছে না বলে জানালেন সাবেক ফুটবলার বুলবুল, “বগুড়ায় শীতের মৌসুমে সকালে-বিকেলে চলে টুর্নামেন্ট। অনেক ফুটবলার দুই বেলায় খ্যাপ খেলছে। রাজনীতিক ব্যক্তিদের নামে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে কোনও একাডেমির ফুটবলার নেওয়া হয় না। ওরা শুধু অনুশীলন করে যাচ্ছে। কিন্তু সুযোগ পাচ্ছে না কোথাও নিজেদের প্রমাণ করার।”
নাবিন নেওয়াজ জীবনের মতে খ্যাপে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাচ্ছে অনেকের, “ এভাবে স্বল্প পরিসরের খ্যাপের ম্যাচ থেকে তো ফুটবলার তৈরি হয় না। বরং ইনজুরিতে শেষ হয়ে যাচ্ছে অনেক ফুটবলারের ক্যারিয়ার।”
স্থানীয় ফুটবলার মোস্তফা আল মামুন এমন টুর্নামেন্টের অপেক্ষায় থাকেন সারা বছর, “শীতের মৌসুমে এখানে গড়ে প্রায় ৫০টা প্রাইজমানি টুর্নামেন্ট হয়। গরু খাসিও থাকে পুরস্কার হিসেবে। আমরা এই ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য অপেক্ষায় থাকি। কারণ সারা বছর অন্য কোনও লিগ হয় না। কোনও প্রতিযোগিতাও থাকে না।”
শেষ কথা
বগুড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে খ্যাপ বা ফুটসালের মতো টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে উপচে পড়া দর্শকের দেখা মেলে। ফুটবল ঘিরে তৈরি হয় উৎসবের আমেজ। কিন্তু আগের মতো উঠে আসে না সত্যিকারের প্রতিভাবান ফুটবলার। প্রকৃত সংগঠকরা মাঠমুখি হলেই হয়তো আবারও জেগে উঠবে বগুড়ার ফুটবল।