Beta
শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫

‘স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত’

ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি।
ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি।
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন ও আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসন উভয়ই গুরুত্ব দিয়েছে বলে মনে করেন ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি।

কলকাতায় শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই অভিমত জানান বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গারসেটি বলেন, “গত সপ্তাহে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা বৈঠক করেছেন এবং সেই আলোচনার বড় অংশ জুড়েই ছিল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। আমরা কীভাবে বাংলাদেশকে সর্বোত্তমভাবে সাহায্য করতে পারি? বাংলাদেশ কীভাবে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করতে পারে এবং সেখানে সবাইকে নিরাপত্তা দিতে পারে?

“আমরা সবাই একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ, সহিষ্ণু বাংলাদেশ দেখতে চাই, এবং এই লক্ষ্য আমাদের সবার। তাই আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত একত্রে এ বিষয়ে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে, যা আগে কখনও হয়নি।”

বক্তব্যে তিনি স্বীকার করেন, শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন সবসময়ই কঠিন এবং তা সবসময় ভালো ফল নাও দিতে পারে। তবে তিনি বলেন, যদি বৈশ্বিক সম্প্রদায় এটা বোঝে এবং দেখে যে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও বাংলাদেশে অনেক বেশি মিল আছে, অন্যান্য দূরের দেশের তুলনায়, তাহলে এটি ইতিবাচক হতে পারে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কূটনৈতিকভাবে দু’পক্ষের মধ্যে চেষ্টা চলছে। গত ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বললেন, শেখ হাসিনার অবস্থান দুই দেশের সম্পর্কে বাধা হওয়া উচিত নয়।

শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের নিপীড়নের কথা বলে আসছে ভারত, যদিও অনেক অভিযোগের ভিত্তি মেলেনি।

এর মধ্যে গত ৩১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এক পোস্টে বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘বর্বর সহিংসতার’ নিন্দা জানান এবং মন্তব্য করেন, “এটা তার তত্ত্বাবধানে কখনও ঘটত না।”

ট্রাম্পের ওই মন্তব্য বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্বিগ্ন করেছে, বিশেষ করে ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ পরবর্তী সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে বাংলাদেশি আমেরিকান হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানদের একটি জোট ট্রাম্পের কাছে আবেদন জানিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষায় তার হস্তক্ষেপ কামনা করে। তারা বাংলাদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর চলমান ‘নির্যাতনের তথ্য’ তুলে ধরে এটিকে দেশটির ইসলামিস্ট উপাদানদের কাছ থেকে ‘অস্তিত্বের হুমকি’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতীয়-আমেরিকানরা আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসন এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ করছে বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। এর মধ্যে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত