হ্যাটট্রিক যেকোনো বোলারের জন্যই আরাধ্য স্বপ্ন। আর সেই হ্যাটট্রিক যখন হয় প্রিয়জনের সামনে রোমাঞ্চ বেড়ে যায় শতগুণ।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই পেসার শরিফুল ইসলাম পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক। অথচ হ্যাটট্রিক পাওয়ার আগে ওই ওভারেই তাকে পর পর দুটি ছক্কা মারেন দুর্দান্ত ঢাকার ব্যাটসম্যান খুশদিল শাহ। এরপরই তাসকিন আহমেদ এগিয়ে গিয়ে কিছু একটা বললেন শরিফুলকে। ওই ওভারে শেষ পর্যন্ত পেয়ে গেলেন হ্যাটট্রিক। আর সেই হ্যাটট্রিক ভিআইপি গ্যালারিতে বসে দেখলেন শরিফুলের স্ত্রী ফারদিন শেখ চাঁদনী।
শরিফুলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পঞ্চগড়ে। ঢাকা থেকে অনেক দূর হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের কাউকে নিয়মিত খেলা দেখতে আমন্ত্রণ জানাতে পারেননা মিরপুরে। শুক্রবারই প্রথম শরিফুলের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন তার স্ত্রী। আর দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। যেন অলক্ষ্যে স্ত্রীকেই উপহার দিলেন হ্যাটট্রিক!
ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে ঢোকার পথে স্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শরিফুল। দিনটি স্বাভাবিকভাবেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশ পেসারের।
মাঠে প্রিয়জনের সামনে হ্যাটট্রিক পেয়ে কেমন লেগেছে? ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে হেসে ওঠেন তিনি। বলছিলেন, ‘‘ আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো অনুভূতি, বিশেষ করে আমার পরিবার আজ মাঠে এসে প্রথম খেলা দেখেছে। আজই হ্যাটট্রিক হয়েছে, তাই খুব ভালো লাগছে।’’
৪ ওভারে ২৭ রান দেওয়া শরিফুল ইনিংসের শেষ ৩ বলে পেয়েছেন উইকেট। ওই ওভারেই যে হ্যাটট্রিক হবে সেটা নাকি শরিফুল নিজেও ভাবেবনি, “আমার ভাবনায় আসলে হ্যাটট্রিক ছিল না। ভেবে দেখি আমার হাতে তখনো বল আছে আরও তিনটা। আমি ভালোভাবেই ফিরে আসতে পারব। হয়তোবা এখান থেকে একটা উইকেট নিতেও পারব। কিন্তু হ্যাটট্রিকটা ভাবিনি, ওটা হয়ে গেছে।”
হ্যাটট্রিক পাওয়ার আগে সতীর্থ বোলার তাসকিন এগিয়ে এসে শরিফুলকে পরামর্শও দিয়েছিলেন। তাসকিন ওই সময় আসলে কি বলেছিলেন?
“ওই সময় তাসকিন ভাই, সৈকত ভাই সামনে এসে বলছিলেন, এখন একটা স্লোয়ার দিলে উইকেটে ধরবে। আমি তাই স্লো বাউন্সার দেওয়ার চেষ্টা করেছি ” -বলেন শরিফুল।