ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ হলো বিপিএলের। প্রথম তিন রাউন্ড শেষেও সাত দলের কেউ বাদ পড়ে যায়নি প্লে-অফের দৌড় থেকে। সেই অঙ্কে টুর্নামেন্টটা জমজমাটই বলা যায়।
যদিও ১৫টার বেশি ‘ওয়াইড বাউন্ডারিতে’ স্পট ফিক্সিংয়ের সন্দেহ যেমন আছে তেমনি সময়মতো পারিশ্রমিক পরিশোধ না করা নিয়ে আছে কলঙ্ক। চট্টগ্রামে তো রাজশাহীর খেলোয়াড়রা বয়কট করেছিলেন অনুশীলন পর্যন্ত। এরপর তারা বদল করে অধিনায়ক। এনামুল হক বিজয়ের জায়গায় দায়িত্ব পান তাসকিন আহমেদ। টাকা না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ আবার নজরদারিতে রাখে রাজশাহীর মালিককে!
টুর্নামেন্টের মাঝখানে বিপিএল সদস্য সচিব নাজমুল আবেদিন ফাহিমের মেয়েদের বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এসব সঙ্গী করে চট্টগ্রাম পর্ব শেষে বিপিএল ফিরছে ঢাকায়।
৯ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে সেরা চারে থাকা নিশ্চিত করে ফেলেছে রংপুর রাইডার্স। ৮ ম্যাচে ফরচুন বরিশালের পয়েন্ট ১২। সমান ৯ ম্যাচে চিটাগং কিংসের পয়েন্ট ১০ আর খুলনা টাইগার্স-এর ৮। ১০ ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর পয়েন্ট ৮। ১০ ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের পয়েন্ট ৬ আর ৯ ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্স-এর ৪।
কাগজে কলমে এখনও বাদ পড়েনি কেউ। তলানিতে থাকলেও শেষ তিন ম্যাচ জিতলে সিলেটের আশা থাকবে। সেক্ষেত্রে তাদের পয়েন্ট হবে ১০। তখন দেখতে হবে অন্য দলগুলোর ফল যেন তাদের পক্ষে আসে ।
সেক্ষেত্রে সমান ১০ পয়েন্ট পাওয়া অন্য দলগুলোর সঙ্গে তাদের নেট রান রেট শ্রেয়তর হতে হবে। কাগজে কলমের হিসেবে বাদ না পড়লেও এই অঙ্কটা মেলানো সহজ নয় সিলেটের।
ব্যাটিংয়ে সেরা পাঁচে আছেন বাংলাদেশেরই চার ক্রিকেটার। এক সেঞ্চুরি তিন ফিফটিসহ সবচেয়ে বেশি ৪২০ রান তানজিদ হাসান তামিমের।
এনামুল হক ৩৭৯, লিটন দাস ৩৪৮ আর জাকির হাসান করেছেন ৩৪২ রান। পাঁচ নম্বরে থাকা চিটাগং কিংসের ইংলিশ ক্রিকেটার গ্রাহাস ক্লার্ক করেছেন ৩৩৫ রান।
বোলিংয়ে ১০ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে এক নম্বরে তাসকিন আহমেদ। রংপুরের পাকিস্তানি বোলার আকিফ জাভেদ ও খুলনার আবু হায়দার রনি নিয়েছেন দ্বিতীয় সেরা ১৫টি করে উইকেট।