ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ওই বলের পর যারা রংপুর রাইডার্সের হয়ে ফাইনালের স্বপ্ন দেখছিলেন, তাদের শেষটা হলো দুঃস্বপ্নের। লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয় মিলে রংপুরকে স্রেফ উড়িয়ে দিলেন। সুবাদে ১৮৫ রানের লক্ষ্য ৬ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখে জিতে পঞ্চম ফাইনালে উঠল কুমিল্লা।
২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে রংপুর। আরও একবার মাঠে দেখা যাবে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল দ্বৈরথ।
জিমি নিশাম একা লড়েছিলেন রংপুরের হয়ে। তার সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইনিংসে দলটির সাধারণ মানের ইনিংস শেষ পর্যন্ত ভালো স্কোর পায়। কিন্তু লিটন ও তাওহিদ রংপুরের হিসেব পাল্টে দিলেন। অবিশ্বাস্য দুটো ইনিংস খেললেন দুজনে। প্রথম বলে উইকেট হারানোর পর দুজনে পরের ১৫ ওভারে যোগ করেন ১৪৩ রান।
চলতি আসরে দ্বিতীয় উইকেটে সেরা জুটি গড়ার পেছনে লিটনের রান ৫৭ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৩। আর হৃদয় ৪৩ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় করেছেন ৬৪। কুমিল্লার বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেয়া নিশামের ওপর পাল্টা ঝড় চালিয়েছেন দুজনেই। সঙ্গে লিটন-হৃদয়ের রুদ্রমূর্তি দেখেছেন হাসান মাহমুদও।
দুজনের ব্যাটে ১০ ওভার শেষেই ম্যাচ নিজেদের দিকে পেয়ে যায় কুমিল্লা। ১৫ ওভার শেষে তো জয়ের পথেই চলে যায়। কারণ একই সংখ্যক ওভার শেষে রংপুরের রান ছিল ৫ উইকেটে ১১৪ আর কুমিল্লার ২ উইকেটে ১৪৩।
ইনিংসের মাঝে এই এগিয়ে যাওয়া কুমিল্লার বাকি ব্যাটারদের কাজ আরও সহজ করে। এমনিতেও কুমিল্লার মিডল থেকে লোয়ার মিডলঅর্ডারে বিশ্ব ক্রিকেটের মারকুটে ব্যাটাররাই ছিলেন। হৃদয় আউট হওয়ার পর জনসন চার্লস ও মঈন আলি সেই শক্তি দেখিয়েছেন।
চার্লস মাত্র ৩ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ৩ বলে করেন ১০ আর মঈন আলি সমান সংখ্যক ছক্কা ও চারে ৬ বলে করেছেন ১২ রান।