ব্রাজিলের ফুটবল দেখে সাম্বার ছন্দ খুঁজে পাওয়া যায় না আর। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা বড্ড সাদামাটা এখন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১২ ম্যাচে তাদের জয় কেবল ৫টি, ড্র ৩ হার ৪টি।
উরুগুয়ের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে ড্র করায় ঘরের মাঠেই শুনতে হয়েছে দুয়ো। কোপা আমেরিকায় এই উরুগুয়ের সঙ্গেই গোলশুন্য ড্র করে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল তারা। বুধবারও সেই জোনাল মার্কিং আর অ্যাটাকিং থার্ডে জায়গা না দেওয়ার ছকে খেলে গেছে উরুগুয়ে, আর গোলের জন্য হপিত্যেশ করে গেছে ব্রাজিল।
ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণ শেষ হয়েছে হতাশায়। ফন্তে নোভায় দর্শকরা দুয়ো দিয়েছেন নিজেদের খেলোয়াড়দেরই। এই দুয়োর মধ্যেই অবশ্য ভালোবাসা খুঁজে নিয়েছেন কোচ দোরিভাল জুনিয়র, ‘‘দর্শকদের এমন দুয়ো অবশ্যই ফলের জন্য। তবে বিরতিতে দুয়োটা অনেক কম ছিল। দর্শকরা কোথাও হস্তক্ষেপ করেননি, আমরা সমর্থকদের ভালোবাসা পেয়েছি সব জায়গাতেই।’’
একই কথা বললেন রাফিনিয়াও,‘‘ফলাফলের জন্য দুয়ো দেওয়া হয়েছে আমাদের। নিজেদের সবটুকু দিয়ে খেলেছি। আজকে যারা খেলেছে আমি সবাইকে নিয়ে গর্বিত। এমনকি যারা বেঞ্চে ছিল, তাদেরকে নিয়েও। জয়ের জন্য যা কিছু করা সম্ভব, সবকিছুই আমরা করেছি। মাথা উঁচু রাখতেই পারি।’’
বাছাইপর্বে ব্রাজিল চার থেকে পাঁচ নম্বরে নেমে গেলেও ভেঙে পড়ার মতো কিছু দেখছেন না কোচ দোরিভাল। এই দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি, ‘‘ব্রাজিল দলে আমরা আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার করছি। শেষ দুই ম্যাচে আমরা ভালো খেলেছি। ভাগ্যটা আরেকটু ভালো হতে পারত। আর একটি গোল পেলে বাছাইয়ে দুইয়ে থেকে বছর শেষ করতে পারতাম। আমার মনে হয়, আমরা সঠিক পথেই আছি।’’
বাছাইপর্বে পাঁচ নম্বরে নেমে যাওয়া কোচের চাকরি বাঁচানো কঠিন ব্রাজিলে। সংবাদ সম্মেলনে চাকরি নিয়ে প্রশ্ন করলে দোরিভাল জবাবটা দিয়েছেন শান্তভাবে, ‘‘আমার চেয়ে প্রশ্নটার ভালো উত্তর দিতে পারবেন ফুটবল পরিচালক ও সভাপতি। আমি জানি, ফলই সবকিছু ব্রাজিলিয়ানদের কাছে। আমার জীবন এভাবেই কেটেছে ক্লাব ক্যারিয়ারে। তবে আদর্শ দলটা বের করতে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’’
বাছাইপর্বে ব্রাজিলের পরের ম্যাচ ২০২৫ সালের মার্চে। ততদিন দোরিভালকে নিয়ে ধৈর্য দেখাবে তো ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন?