জেন-জি মানেই কেবল অল্প বয়সী ‘খোকাবাবু’ নয়। তাদের উপর কেবল ‘অল্প বয়সী’ তকমা দেওয়ার যে জোর প্রচেষ্টা দেখতে পাওয়া যায়, তার ষোলআনাই কাচের মতো গুড়ো হয়ে যায় কর্মক্ষেত্রে। পেশাদারত্বের ক্ষেত্রে তাদের রয়েছে একটি নিজস্ব ভঙ্গি। তার নজির হরহামেশাই দেখতে পাওয়া যায় ফ্লিল্যান্স ভিত্তিক কাজের পরিসরে। ট্র্যাডিশনাল কাজের টাইম টেবিল মেনে চলা যে একেবারেই তাদের ধাতে নেই!
বরং ফ্রিল্যান্সিংয়ের জোয়ারের এই দিনে ৯টা-৫টা কাজের পরিবর্তে নিজস্ব সুবিধাজনক সময়েই কাজ করতে তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
সান ফ্রান্সিস্কো ভিত্তিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ‘আপওয়ার্ক’ যুক্তরাষ্ট্রের ১০৭০ জন ‘জেন-জি’-র ওপর এক জরিপ চালায়। জরিপের উত্তরদাতাদের সকলেই ছিল ফ্রিল্যান্সার। এতে দেখা যায়, ৫৩ শতাংশ জেন-জি প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৪০ ঘণ্টা অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজ করে। এদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ জেন-জি কর্মী দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছিলো। এতে করে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায়। আর তা হলো- চিরাচরিত পেশার ধারা থেকে এই জেনারেশনটি সরে এসেছে।
কিন্তু কেন?
এর একটি বড় কারণ হলো পেশার এবং পেশাগত বিকাশের ওপর নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ। আর এ পথে তাদের ধাবিত করেছে আরেকটি বিষয়। সেটি হলো, ‘জেন-জি’রা পুরোনো নীতি নৈতিকতার ঘেরাটোপে আবদ্ধ বসদের প্রত্যাশা অনুযায়ী তাদের ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নেবেনা। আর তাই তারা ৯টা-৫টার প্রথাগত চাকরিকে ছুঁড়ে ফেলে ঝুঁকে পড়ছে ফ্রিল্যান্সিং এর পথে।
‘জেন-জি’দের সহায়ক এখন এআই
পেশাগত কাজে জেন-জি’রা কোন সিনিয়রের কাছে কাজ বুঝে নিতে খুব বেশি আগ্রহী নয়। তার চেয়ে বরং কাজ বুঝে নিতে তারা দ্বারস্থ হচ্ছে এআই-এর কাছে। আমেরিকায় আপওয়ার্কে কর্মরত জেন-জিদের ৫১ শতাংশ তাদের কাজের প্রয়োজনে জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করছে।
‘জেন-জি’দের দিয়ে কীভাবে কাজ করাবেন?
একজন ‘জেন-জি’কে দিয়ে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করাতে হয় তবে মাথায় রাখতে কয়েকটি বিষয়। প্রথমেই প্রথাগত ‘স্টাফ’ এর ধারণা মাথা থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করে দিতে হবে। আর সকাল সকাল জেন-জি কর্মীদের অফিসে না আসার বিষয়টির সঙ্গে হতে অভ্যস্ত। এমনকি অফিস কামাই দিয়ে তাদের বাসায় বসে কাজের অভিপ্রায়ের সঙ্গেই মানিয়ে নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অভ্যস্ত হতে হবে জুম মিটিং-এ।