Beta
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

হাসিনার আমলে বেশি ঘুষ লেগেছে বিচারিক সেবা পেতে : টিআইবি

TIB_Corruption
[publishpress_authors_box]

শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের শাসনামলে সরকারি সেবা পেতে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে দেশের নাগরিকদের।

সবচেয়ে বেশি ঘুষ দিতে হয় বিচারিক সেবা পেতে। এরপর ক্রমানুযায়ী ভূমি, ব্যাংক, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সেবা পেতে বেশি ঘুষ দিতে হয়।

‘সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০২৩’ শিরোনামে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়।

টিআইবির ১০টি জরিপের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। প্রতিবেদনে দুর্নীতি বলতে ব্যক্তিগত স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার বোঝানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের টানা পনেরো বছরে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সেবাখাতে ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে।

দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার হয়েছেন পাসপোর্ট সেবা নিতে গিয়ে। সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত তিনটি খাত হচ্ছে পাসপোর্ট, বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা।

প্রতিবেদন মতে, সেবা খাতে ২০২৩ সালে দেশের ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ খানা (পরিবার) দুর্নীতির শিকার হয়েছে।

আর ঘুষের শিকার হয় ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। গড়ে সবচেয়ে বেশি ঘুষ দিতে হয়েছে বিচারিক সেবা, ভূমি সেবা ও ব্যাংকিং খাতে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্বিকভাবে সেবা নিতে গিয়ে ২০২৩ সালে খানাপ্রতি গড়ে ঘুষ দিতে হয়েছে ৫ হাজার ৬৮০ টাকা। এর মধ্যে বিচারিক সেবা নিতে গিয়ে খানাপ্রতি ঘুষ দিতে হয়েছে ৩০ হাজার ৯৭২ টাকা।

এরপর ভূমিসেবায় ১১ হাজার ৭৭৬ টাকা, ব্যাংকিং সেবায় ৬ হাজার ৬৮১ টাকা, বিআরটিএ সেবায় ৬ হাজার ৬৫৪ টাকা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সেবায় ৫ হাজার ২২১ টাকা করে খানাপ্রতি ঘুষ দিতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, টিআইবির গবেষণায় উঠে এসেছে, ২০২৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে প্রাক্কলিত মোট ঘুষের পরিমাণ ছিল প্রায় ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা।

ঘুষের এই পরিমাণ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের (সংশোধিত) ১.৪৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশের জিডিপি’র ০.২২ শতাংশ।

প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “মানুষ এখন আর দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করে না। উল্টো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করে দাওয়াত দেয়।

“দুর্নীতি দূর করতে হলে এর বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত