একটা সময় বাজি খেলতেন ব্রাইডন কার্স। এ বছরের শুরুতে নিষিদ্ধও হন এজন্য। ব্রাইডন তখন বাজির দায়ে ক্যারিয়ারের শেষেই দেখে ফেলেছিলেন। সেই ব্রাইডন ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে করলেন অনন্য কীর্তি।
প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন ৬ উইকেট। ১০ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক তিনিই। ১৬ বছর পর ইংল্যান্ডের প্রথম পেসার হিসেবে দেশের বাইরে ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা এই পেসারই। ১৬ বছর আগে ইংলিশ পেসারদের মধ্যে সবশেষ বিদেশে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন রায়ান সাইডবটম।
তৃতীয় দিনই একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় ইংল্যান্ডের জয়। ৮ উইকেটের জয়টা আসে আজ (রবিবার) চা বিরতির আগে। ১৫৫ রানে ৬ উইকেটে তৃতীয় দিন শেষ করা নিউজিল্যান্ড অলআউট হয় ২৫৪ রানে।
জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাড়ায় ১০৪ রান। অল্প রানের লক্ষ্যটা ১২.৪ ওভার বা ৭৬ বলে পেরিয়ে যায় বেন স্টোকসের দল। এটা সবচেয়ে কম বলে একশ’র বেশি রান তাড়ায় জেতার রেকর্ড, এর আগে বাংলাদেশের ১০৯ রানের লক্ষ্য ১৮.৪ ওভারে তাড়া করে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড।
সফল রান তাড়ায় তাদের ওভার প্রতি ৮.২১ রেটে রান করাটাও রেকর্ড। এছাড়া বিদেশে টানা পঞ্চম সফরের প্রথম টেস্ট জিতল ইংল্যান্ড। যদিও এই সবগুলো সিরিজ তারা জিততে পারেনি। সবশেষ প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজ হেরেছে পাকিস্তানের সঙ্গেও।
ইংল্যান্ডের অভিষিক্ত ব্যাটার জ্যাকব বেথেল অপরাজিত ছিলেন ৫০ রানে আর জো রুট অপরাজিত ছিলেন ২৩ রানে। প্রথম ইনিংসে হ্যারি ব্রুক করেছিলেন ১৭১ রান, বিদেশে তার ব্যাটিং গড় এখন ৮৯। এটা ডন ব্র্যাডম্যানের পর দ্বিতীয় সেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড ৩৪৮ ও ২৫৪ (উইলিয়ামসন ৬১, মিচেল ৮৪; কার্স ৬/৪২, ওকস ৩/৫৯) ; ইংল্যান্ড: ৪৯৯ ও ১০৪/২( বেথেল ৫০*, রুট ২৩*; হেনরি ১/১২, ও রুর্ক ১/২৭) ; ফল: ইংল্যান্ড ৮ উইকেট জয়ী; ম্যাচসেরা: ব্রাইডন কার্স।