Beta
বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪
Beta
বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪

বাজেট দেশকে আরও সংকটে ফেলবে : জি এম কাদের

ss-g m kader-6-6-24
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রস্তাবি বাজেট জনবান্ধব নয় বলে মনে করছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের। তার আশঙ্কা, এই বাজেট পাসের পরে বাংলাদেশ একটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়বে।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপনা করেন।

প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “এই বাজেট জনবান্ধব নয়। পরোক্ষ করের কারণে জনগণের মাথায় করের বোঝা বাড়বে, যা থেকে জনগণের মুক্তির উপায় নেই। পরিবেশের অভাবে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে না, ফলে নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে না।”

প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ১৭১ কোটি টাকা আর উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি থাকছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।

জি এম কাদের বলেন, “ব্যয়ের চেয়ে আয় হচ্ছে অনেক কম। ঘাটতি মেটানো হচ্ছে দেশি ও বিদেশি ঋণ দিয়ে। বাজেটের পরে বাংলাদেশ একটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়বে।”

গত কয়েক বছরে যা হয়েছে, এবারের বাজেটে তার বাইরে বিশেষ কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা।

জি এম কাদের বলেন, “বাজেট হয়েছে গতানুগতিক। দেশে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। মূল্যস্ফীতি, বেকার সমস্যা আছে। বৈদেশিক মুদ্রা যা আয় করছি, ব্যয় হচ্ছে তার থেকেও বেশি। রিজার্ভ প্রতিদিন কমছে। এগুলো থেকে উত্তরণের কোনও পদক্ষেপ বা উদ্যোগ বাজেটে লক্ষ্য করছি না।”

প্রস্তাবিত বাজেটে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী।

এ বিষয়ে জি এম কাদের বলেন, “ঋণ নিয়েই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা হচ্ছে। ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ থেকে সুদ দেওয়ার পরে আমরা ব্যবহার করতে পারছি ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণ করতে হচ্ছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। পরিচালন ব্যয় ও ঋণ নিয়ে করা হচ্ছে।”

রাজস্ব আয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই আয়ের ৬২ শতাংশ হচ্ছে প্রত্যক্ষ কর, বাকিটা পরোক্ষে কর। এতে সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।

গরীব মানুষদের বাঁচানোর কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ছে না মন্তব্য করে জি এম কাদের বলেন, “হতদরিদ্র মানুষের জন্য যেটুকু দেওয়া হয় তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। অপচয় এবং দুর্নীতির মাধ্যমে যারা সহায়তা পাওয়ার কথা তারা পায় না।”

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা ‘বসিয়ে’ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “জনগণের ক্ষতির কারণগুলোকে লাভজনকভাবে দেখানো হচ্ছে। অথচ সবাই বিদ্যুৎ পাচ্ছে না, গ্যাস পাচ্ছে না। এতে বিপুল অঙ্কের টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে। আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তা অত্যন্ত হুমকির মুখে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত