Beta
বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪
Beta
বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে যা আছে বাজেটে

৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

নির্বাচনী ইশতেহার সামনে রেখে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে জোর দিতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে অনেকগুলো খাতে গুরুত্ব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি খাতের অন্তত ২০ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণে তিন বছরের কর অবকাশ সুবিধার প্রস্তাব করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পরিকল্পনা উপস্থাপনকালে এ প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী।

এ সময় তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট দেশে পরিণত করা। আগামী দেড় দশকের মধ্যে এ লক্ষ্য অর্জন করার জন্য প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো তৈরি, গবেষণা ও উদ্ভাবন, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও বাজার সম্প্রসারণ, সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ সেবা এবং সর্বোচ্চ মানের বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।”

অর্থমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট ও টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব বিবেচনায় এর উন্নয়ন ও ব্যবহার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে আগামী অর্থবছরের জন্য ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছেন।

এসময় তিনি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বেজড সলিউশন ডেভেলপমেন্ট, ব্লকচেইন বেজড সলিউশন ডেভেলপমেন্ট, রোবোটিক্স প্রসেস আউটসোর্সিং, সফটওয়্যার অ্যাজ আ সার্ভিস, সাইবার সিকিউরিটি সার্ভিস, ডিজিটাল ডেটা এনালাইটিক্স ও ডেটা সায়েন্স, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও কাস্টমাইজেশন, সফটওয়্যার টেস্ট ল্যাব সার্ভিসসহ বেশ কয়েক ধরনের প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ক্যাশলেস হওয়ার শর্তে আগামী তিন বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করেন।

এই সুবিধার আওতায় পড়বে ওয়েব লিস্টিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও সার্ভিস, আইটি সহায়তা ও সফটওয়্যার মেইনটেন্যান্স সার্ভিস, জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস, ডিজিটাল এনিমেশন ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল ডেটা এন্ট্রি ও প্রসেসিং, ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ও ই-পাব্লিকেশনের মতো প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো যুগান্তকারী বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিনির্মিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, যার চারটি ভিত্তি হবে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজব্যবস্থা।

তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার; দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে তিন শতাংশের কম মানুষ আর চরম দারিদ্র্য নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়। মূল্যস্ফীতি সীমিত থাকবে ৪-৫ শতাংশের মধ্যে; বাজেট ঘাটতি থাকবে জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে। রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত হবে ২০ শতাংশের উপরে; বিনিয়োগ উন্নীত হবে জিডিপির ৪০ শতাংশে। শতভাগ ডিজিটাল অর্থনীতি আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সাক্ষরতা অর্জিত হবে। সবার দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা, টেকসই নগরায়নসহ নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সব সেবা থাকবে হাতের নাগালে। তৈরি হবে পেপারলেস ও ক্যাশলেস সোসাইটি। আর এসব কিছুর পেছনে মূল লক্ষ্য হবে সমতা ও ন্যায়ভিত্তিক একটি সুখী সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা।

এ সময় তিনি ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স প্রদান অব্যাহত রাখা এবং সরকারের বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পে লেনদেন ডিজিটাল করার পরিকল্পনাগুলোও তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত