ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় অগ্নিদগ্ধ তিন মাস বয়সী সুমাইয়াকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিল সে।
ইন্সটিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান রবিবার একথা নিশ্চিত করেন। সুমাইয়ার শরীরের নয় শতাংশ পুড়েছিল বলেও জানান তিনি।
আশুলিয়ার ওই অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়ে মোট ১১ জন রোগী আসে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে। তাদের মধ্যে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুই ভাই বোন শিউলি আক্তার ও সুমন রহমান এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি শারমিন আক্তারের মৃত্যু হয়। চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার হাসপাতাল ছাড়েন সোহেল রহমান।
শাওন বিন রহমান বলেন, “এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ছয়জন। তাদের মধ্যে ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মনির হোসেন এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়। যদিও তার অবস্থা আগের চাইতে ‘ইমপ্রুভ’ করেছে, তবুও তাকে আমরা শঙ্কামুক্ত বলছি না। বাকিদের মধ্যে দুইজনকে আমরা হয়তো শীঘ্রই ছেড়ে দেব।”
রোগীদের দেওয়া তথ্যের বরাতে শাওন বিন রহমান বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার গোমাইল এলাকায় ভাই সুমন রহমানের ভাড়া বাসায় স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে যান শিউলি। ওই বাসায় সুমন স্ত্রী শারমিন ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন। ওই দিন বাসায় সুমনের ভাই সোহেল, মা সূর্যবানু ও ফুফু জহুরা বেগমও ছিলেন।
বিকাল থেকেই বাসায় রান্নাবান্না চলছিল। মশার উপদ্রবের কারণে সন্ধ্যার আগেই বাসার সব জানালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। রাত সাড়ে নয়টার দিকে রান্নাঘরে আবার গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলে বিকট শব্দ হয়। মুহূর্তেই ঘরময় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাসার সবাই দগ্ধ হন।
দগ্ধদের প্রথমে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে ওই রাতেই ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
প্রাথমিকভাবে গ্যাসের লিকেজ থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্বজনরা ধারণা করছেন বলে জানান এই চিকিৎসক।
দগ্ধদের সমন্বিত চিকিৎসায় ২২ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি।