অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন।
তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু। মেসার্স ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন।
বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার তাকে খালাস দেয়।
এ নিয়ে পাঁচ মামলার দণ্ডাদেশের মধ্যে অর্থ পাচারসহ চারটিতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন খালাস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
আদালতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ ও আইনজীবী শাহ মো. সাব্বির হামজা চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
রায়ের পর আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মোট মামলা ২২টি। এর মধ্যে পাঁচটি মামলায় তার দণ্ড হয়েছে। আজকের মামলাটিসহ চারটি মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুন খালাস পেয়েছেন। একটি মামলার কারাদণ্ড এখনও বহাল রয়েছে।”
২০০৭ সালের ২৬ মার্চ ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা করে পুলিশ। মামলার নথি থেকে জানা যায়, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ডিওএইচএস বনানীর বাসায় ২০০৭ সালের ২৬ মার্চ রাত সাড়ে ৩টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট থানার তৎকালীন ওসির নেতৃত্বে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। তল্লাশির সময় তার শোবার ঘরের সোফার গদির নিচ থেকে একটি পিস্তল ম্যাগাজিনসহ পলিথিনে মোড়ানো ৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়। তিন তলার শোবার ঘর থেকে সেদিন মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০০৭ সালের ৩ জুলাই এই মামলায় রায় দেন ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২। রায়ে মামুনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং জব্দ করা অস্ত্র ও গুলি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই হাই কোর্টে আপিল করেন মামুন। সেই আপিল মঞ্জুর করে উচ্চ আদালত সোমবার রায় দিয়েছে।
২০০৭ সাল থেকেই কারাগারে ছিলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, মানিলন্ডারিং, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টির বেশি মামলা হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরদিন কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।