Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

নারী এমপিদের শপথের পর কি মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ

গত ১১ জানুয়ারি বঙ্গভবনে শপথ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ফাইল ছবি
গত ১১ জানুয়ারি বঙ্গভবনে শপথ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ফাইল ছবি
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যদের শপথ নেওয়ার পর মন্ত্রিসভার আকার বাড়ার গুঞ্জন চলছে।

বুধবার ৫০ জন নারী সংসদ সদস্য শপথ নিতে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৪৮ জনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গত ১১ জানুয়ারি নতুন সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা শপথ নেন সেদিন।

এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নারী সংসদ সদস্যদের শপথের পর মন্ত্রিসভার আকার বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, “আমার মনে হয়, সংরক্ষিত মহিলা আসনগুলো আসার পরে মন্ত্রী আসতে পারে। সেখানে মহিলাও আসতে পারে।”

তবে মন্ত্রিসভার আকার বাড়ানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখতিয়ার সেটাও জানিয়ে রাখেন তিনি।

সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, বুধবার বিকালে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন।

যে ৫০ জন নারী এমপি শপথ নেবেন, তাদের মধ্যে কেবল দুজন জাতীয় পার্টির। বাকিরা সবাই আওয়ামী লীগের।

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে বণ্টিত নারী আসনের মধ্যে এবার ৬২টি আসনে জয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের ভাগে ১০টি নারী আসন পড়েছিল। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়ী এই আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের ভাগের আসনগুলো নিজের দলকে দিয়ে গেছেন।

এদিকে নারী এমপিদের শপথের দিন বুধবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মন্ত্রিসভার আকার বাড়ানোর আলোচনার খবর দেওয়া হয়েছে।

তাতে বলা হয়েছে, বর্তমান মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে আরও সাত-আটজন যুক্ত হতে পারেন। পূর্ণ মন্ত্রীর চেয়ে প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীই বেশি হতে পারেন। সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্য থেকেও তিন-চারজন মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন।

এই আলোচনার সূত্রের নাম প্রথম আলো প্রকাশ করেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিগগিরই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হবে, এমন প্রস্তুতি নিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

শেখ হাসিনার টানা চতুর্থ মেয়াদের সরকারে এখন তিনি বাদে মন্ত্রী আছেন ২৫ জন, প্রতিমন্ত্রী ১১ জন। উপমন্ত্রী হিসেবে এবার কেউ নেই।

গতবারের মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রীর সংখ্যা একই রকম থাকলেও প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী ছিলেন বর্তমান সংখ্যার দ্বিগুণ।

বর্তমান সরকারে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কোনও পূর্ণ মন্ত্রী নেই। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সেই দপ্তর সামলাচ্ছেন আহসানুল ইসলাম টিটু।

তেমনি প্রতিমন্ত্রী হয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এখনও ফাঁকা রয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এবার একজন মন্ত্রী রয়েছেন, কোনও প্রতিমন্ত্রী নেই। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কোনও মন্ত্রী নেই, রয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কোনও প্রতিমন্ত্রী নেই।

তথ্য মন্ত্রণালয়ে এখন রয়েছে শুধু প্রতিমন্ত্রী, গতবার যেখানে পূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গতবার পূর্ণ মন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী থাকলেও এবার নেই।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত