ইউরোপ এখন নতুন এক সঙ্কটময় বাস্তবতার মুখোমুখি। প্রায় ৮০ বছর ধরে ন্যাটো (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন) তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এক্ষেত্রে ন্যাটোর প্রধান শক্তি হিসেবে ভূমিকা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ন্যাটোতে দেশটির ভূমিকা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি বিরূপ মনোভাব দেখাচ্ছেন। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সমর্থন দিতেও আগ্রহী। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ন্যাটো সদস্যরা যদি অর্থ না দেয়, তবে তাদের রক্ষা করা হবে কি না- তা নিশ্চিত নয়।
ট্রাম্পের এসব মন্তব্য ইউরোপীয় নেতাদের চিন্তায় ফেলেছে। তারা এখন ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন— যুক্তরাষ্ট্র কি সত্যিই তাদের নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা অংশীদার? বিশেষ করে, ইউরোপ যখন ১৯৪০-এর দশকের পর সবচেয়ে বড় যুদ্ধের মুখোমুখি।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া ন্যাটো পুরোপুরি দুর্বল নয়। জোটের অন্য ৩১টি দেশের কাছে দশ লাখের বেশি সেনা ও আধুনিক অস্ত্র রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ন্যাটোর নিজস্ব সম্পদ ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা রয়েছে, যা দিয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও নিজেদের রক্ষা করতে পারে।
ন্যাটোর সামরিক বাজেট, বেসামরিক বাজেট ও নিরাপত্তা বিনিয়োগে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। তারা প্রত্যেকেই প্রায় ১৬ শতাংশ অবদান রাখে। যুক্তরাজ্য ১১ শতাংশ ও ফ্রান্স অর্থায়ন করে ১০ শতাংশ।
ন্যাটোর তথ্য অনুযায়ী বিশ্লেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান বন্ধ হলেও ইউরোপ সহজেই সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারবে।
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) ইউরোপীয় নির্বাহী পরিচালক বেন শ্রেয়ার মনে করছেন, ইউরোপীয় দেশগুলো একজোট হয়ে সঠিক সামরিক সরঞ্জাম কিনলে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে। এতে তারা সাধারণ অস্ত্রের পাশাপাশি পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাও অর্জন করতে পারে।
গত মাস ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে সিএনএনসহ কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে এক জুম মিটিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বেন শ্রেয়ার বলেন, “ইউরোপের এককভাবেও আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ জোগাড় করার সক্ষমতা আছে। প্রশ্ন হলো, তারা তা করতে রাজি কি না।”
এটাই মূল প্রশ্ন। গত ৭৫ বছরের বেশি সময় ধরে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ জন প্রেসিডেন্টের শাসনামলে, যার মধ্যে প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনও রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রই ন্যাটোকে একত্রে ধরে রেখেছে।
স্নায়ু যুদ্ধের সময় ইউরোপে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব বিস্তার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর ভাঙার মাধ্যমে সেই সময়ের অবসান ঘটে।
১৯৯০-এর দশকে বলকান অঞ্চলে ন্যাটোর অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও বিমান বাহিনী অংশ নেয়। দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার আগে যুক্তরাষ্ট্রই ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার নেতৃত্ব দিয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, সেই বহু বছরের আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ের ঐক্য শেষ হতে পারে শিগগিরই।
আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো ও ইউরোপ বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডান ফ্রিড।
সম্প্রতি তিনি বলেছেন, “ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির ওভাল অফিসের উত্তেজনা এবং এর পরপরই ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধ করা একটি গভীর ভাঙনের মতো মনে হয়েছিল। এটি শুধু ইউক্রেনের সঙ্গে নয় বরং ট্রুমান থেকে রেগান পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ‘মুক্ত বিশ্ব’ কৌশলের সঙ্গেও সম্পর্কিত।”
সাবেক ন্যাটো কর্মকর্তা এবং বর্তমানে লন্ডনের চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সহযোগী ফেলো জন লফ ন্যাটো জোটের মধ্যে আরও গভীর বিভাজন দেখছেন।
লফ সিএনএনকে বলেছেন, “এটি স্পষ্টভাবে মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপকে মিত্রের চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে। ফলে ওয়াশিংটনের ন্যাটো মিত্রদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি কিছুটা সন্দেহজনক হয়ে পড়েছে।
“এই বিভাজন আর মেরামতযোগ্য নয়। যখন এই প্রতিশ্রুতির একটি অংশ হারাতে শুরু করে, তখন পুরো প্রতিশ্রুতি হারানো শুরু হয়।”
ইউরোপীয় কিছু মহলে এখন প্রশ্ন উঠছে, ওয়াশিংটনকে ‘কোনোভাবে শত্রু’ বিবেচনা করা উচিত হবে কি না। কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রহীন ন্যাটো খুব একটা খারাপ কিছু নয়।
উইলিয়াম অ্যান্ড মেরির গ্লোবাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতিতে পোস্টডক্টোরাল ফেলো মরিটজ গ্রেফ্রাথ ২০২৪ সালে ‘ওয়ার অন দ্য রক্স’ শিরোনামে একটি বই লেখেন।
ওই বইয়ে তিনি লিখেছিলেন, “যত জলদি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা বুঝতে পারবে যে তারা আর যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা নিয়ে নিরাপদ নয়, তারা দ্রুত নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাজ শুরু করবে। এইভাবে বলা যায়, সম্ভবত অবাস্তব মনে হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী প্রত্যাহার হলে ইউরোপ আরও শক্তিশালী হবে, দুর্বল নয়।”
ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক মনে করেন, এই প্রক্রিয়া এরমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, “পুরো ইউরোপ আসলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেকোনো সামরিক, আর্থিক বা অর্থনৈতিক সংঘাতে জয়ী হতে সক্ষম—আমরা আসলে আরও শক্তিশালী। আমাদের শুধু এটা বিশ্বাস করা শুরু করতে হয়েছিল। আর আজ এটি ঘটতে শুরু করেছে।”
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শেষ শীর্ষ সম্মেলনের আগে এই মন্তব্য করেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক।
ইউরোপের যা আছে
মিলিটারি ব্যালেন্স ২০২৫ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পর ন্যাটোতে সবচেয়ে বড় সামরিক বাহিনী তুরস্কের। দেশটির সেনা সদস্য সংখ্যা ৩ লাখ ৫৫ হাজার ২০০। এরপর রয়েছে ফ্রান্স (২ লাখ ২ হাজার ২০০), জার্মানি (১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫০), পোল্যান্ড (১ লাখ ৬৪ হাজার ১০০), ইতালি (১ লাখ ৬১ হাজার ৮৫০), যুক্তরাজ্য (১ লাখ ৪১ হাজার ১০০), গ্রীস (১ লাখ ৩২ হাজার) ও স্পেন (১ লাখ ২২ হাজার ২০০)।
আইআইএসএস রিপোর্ট অনুযায়ী, তুরস্কের সবচেয়ে বেশি সেনা সদস্য রয়েছে, যারা মূলত ফ্রন্টলাইন গ্রাউন্ড টুপসের একটি বড় অংশ। তাদের সংখ্যা ২ লাখ ৬০ হাজার ২০০। এরপর রয়েছে ফ্রান্স (১ লাখ ১৩ হাজার ৮০০), ইতালি (৯৪ হাজার), গ্রীস (৯৩ হাজার), পোল্যান্ড (৯০ হাজার ৬০০), যুক্তরাজ্য (৭৮ হাজার ৮০০), স্পেন (৭০ হাজার ২০০) ও জার্মানি (৬০ হাজার ৬৫০)।
এর বিপরীতে ২০২৪ সালের জুন মাসে ন্যাটো সদস্য দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৮০ হাজার সেনা মোতায়েন ছিল। একই বছরের জুলাইয়ের কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস (সিআরএস) রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সিআরএস রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ সেনা জার্মানি (৩৫ হাজার), ইতালি (১২ হাজার) ও যুক্তরাজ্যে (১০ হাজার) রয়েছে।
কিছু বড় ন্যাটো দেশের কাছে রাশিয়ার সমান বা অনেক ভালো অস্ত্র রয়েছে। যেমন, রাশিয়ার একটি পুরনো বিমানবাহী রণতরী থাকলেও যুক্তরাজ্যের দুটি আধুনিক বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। সেখান থেকে এফ-৩৫বি স্টিলথ ফাইটার বিমান উড়ানো সম্ভব। ফ্রান্স, ইতালি ও স্পেনও বিমানবাহী রণতরী বা অ্যামফিবিয়াস শিপ ব্যবহার করে।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য পারমাণবিক বাহিনী বজায় রাখে। উভয় দেশ ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন মোতায়েন করতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া ন্যাটো মিত্র দেশগুলোর কাছে প্রায় ২ হাজার ফাইটার ও গ্রাউন্ড-অ্যাটাক জেট রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু নতুন এফ-৩৫ স্টিলথ জেট অন্তর্ভুক্ত।
পদাতিক সেনা ইউনিটে রয়েছে আধুনিক ট্যাঙ্ক, যেমন জার্মান লিওপর্ড ও ব্রিটিশ চ্যালেঞ্জার। এর কয়েকটি ইউনিট বর্তমানে ইউক্রেনের সেনারা ব্যবহার করছে। ইউরোপীয় ন্যাটো দেশগুলো শক্তিশালী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করতে পারে, যেমন ফ্রান্স-ব্রিটিশ যৌথ স্ক্যাল্প/স্ট্রম শ্যাডো। ইউক্রেন যুদ্ধে এর সফল প্রয়োগ হয়েছে।
মিলিটারি ব্যালেন্স ২০২৫ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়াই তার সামরিক বাহিনী উন্নত করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। ২০২৪ সালে ছয়টি ইউরোপীয় দেশ একটি প্রকল্পে একত্রিত হয়ে গ্রাউন্ড-লঞ্চড ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি শুরু করেছে। তারা গোলাবারুদ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সরবরাহকারী দেশ হিসেবে ব্রাজিল, ইসরায়েল ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোর দিকে নজর দিচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি ইউরোপ থেকে চলে যায়, তবে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রেখে যাবে।
সিআরএস অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপে ৩১টি স্থায়ী ঘাঁটি রয়েছে। নৌ, বিমান, স্থল ও কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সুবিধাসম্পন্ন এসব ঘাঁটি, যা যুক্তরাষ্ট্র চলে গেলে ঐ দেশগুলো ব্যবহার করতে পারবে।
গবেষক গ্রেফ্রাথ বলেন, এই অবকাঠামো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হারিয়ে যাবে না, যদি তারা ইউরোপ থেকে চলে যাওয়ার পর দুঃখিত হয়।
তিনি তার বইয়ে লিখেছেন, “এটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অবকাঠামো অনেক সময় ধরে অক্ষত রাখবে। ফলে, যদি ইউরোপ পূর্বাভাস অনুযায়ী কাজ না করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র আবার সামরিকভাবে ফিরে আসতে পারবে।”
এরপর কী
অনেকেই মনে করেন, ইউরোপ যাতে প্রতিরক্ষা ব্যয় আরও বাড়ায়, তাই ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের কথা বলছেন ট্রাম্প।
তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জোটের আগে এমন পরিস্থিতি হয়েছিল। ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনের সময় তিনি পেন্টাগনকে দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সংখ্যা কমানোর জন্য পরিকল্পনা করে দেখতে বলেছিলেন, যাতে পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।
সেসময় ট্রাম্প একদিকে দক্ষিণ কোরিয়াকে চাপ দিচ্ছিলেন। অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, যাতে কিমকে তার পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি করানো যায়।
তখন হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র সিএনএনকে বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার ভবিষ্যতে সম্ভব হতে পারে। তবে “এটি কেবল তখনই ঘটবে, যখন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র প্রমাণিতভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।”
কিন্তু কিম তার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ত্যাগে ট্রাম্পের সব অনুরোধ অগ্রাহ্য করেন।
আইআইএসএসের ইউরোপীয় নির্বাহী পরিচালক বেন শ্রেয়ার বলেন, ট্রাম্প-কিম বৈঠক একটি বড় সফলতা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল, যদিও তা ছিল না।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র কোরিয়া উপদ্বীপে ‘সাধারণ কাজকর্মে’ ফিরে যায়। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়ায় হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে। সিউলের সেনাদের সঙ্গে যৌথ মহড়া শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে আসে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর বোম্বাররা ওই অঞ্চলে মহড়া দেয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, একই ঘটনা ইউরোপেও ঘটতে পারে যদি ট্রাম্প পুতিনের থেকে তার চাওয়া না পান। ন্যাটো চলতে থাকবে। তখন যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপ ত্যাগের হুমকি একটি ছোট বাধা হবে মাত্র।