Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫

ডায়বেটিস রোগীর কি বিটরুট খেতে বারণ?

ডায়বেটিস রোগীর কি বিটরুট খেতে বারণ?
ছবি: হেলথলাইন ডটকম
[publishpress_authors_box]

বিটরুটের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। এই সবজিতে আছে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার। যদিও এতে থাকা স্টার্চ কনটেন্ট এবং গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ভালো নয়। আর এ কারণেই প্রশ্ন ওঠে, যাদের ডায়বেটিস আছে তারা কি বিটরুট একেবারেই খেতে পারবেন না?

বিটরুট কারা খাবেন?

বিটরুটে ফোলেট, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি ভরপুর থাকে বলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এতে উচ্চমাত্রায় নাইট্রেট থাকে, যা রক্তচাপ কমাতে সহায়ক; একই সঙ্গে কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।

এই সবজির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের প্রদাহ কমিয়ে কোষের শক্তি ভালো রাখে। ফাইবার থাকে বলে বিটরুট খেলে হজম সমস্যা, ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা সামলানো যায়।

ডায়বেটিস রোগীদের বিটরুট মানা?

বিটরুটে কার্বোহাইড্রেট থাকে। কিছু পরিমাণ জিআই বা গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে। ডায়াবেটিসের রোগীরা সাধারণত কম জিআই থাকা খাবার বেছে নিতে পারেন। কারণ কম জিআই থাকা খাবার থেকে শর্করা ধীরে ধীরে শরীরে মেশে বলে ফলে রক্তে হুট করে শর্করা বেড়ে যায় না। অর্থ্যাৎ মাঝে মাঝে এবং কম পরিমাণে বিটরুট খাওয়া যাবে ডায়বেটিস হলেও।

নাইট্রেট থাকার কারণে বিটরুট শরীরের ইনসুলিন প্রতিরোধকে কমিয়ে আনতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ-টু ডায়বেটিস রোগীরা বিটরুট খেয়ে বরং উপকার পাচ্ছেন।

বিটরুটে ফাইবার বা আঁশ থাকা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ইতিবাচক। এই ফাইবার গ্লুকোজের শোষণ ধীর করে দিয়ে রক্তে শর্কবার স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অবশ্য এই উপকারিতার পরও ডায়বেটিস রোগীদের বিটরুট খাওয়ার পরিমাণে ভারসাম্য ধরে রাখতে হবে।

তাছাড়া ফাইবার থাকার কারণে বিটরুট খেলে ঘন ঘন ক্ষুধা পায় না। আর তাতে এটাসেটা খাওয়ার বদভ্যাস এড়াতে পারবেন ডায়বেটিস রোগীরা।

ডায়বেটিস রোগীদের সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সম্পর্ক রয়েছে। বিটরুট খেলে রক্তচাপ সামলে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, রোজ বিটরুট খেলে শরীরে রক্তনালি প্রসারিত হয়ে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এতে করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে শরীর; যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ইতিবাচক।

বিটরুটে আছে বিটানিন, পলিফেনলের মতো ফাইটোকেমিকেল, যা রক্তে শর্করা ও ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

যাদের ডায়বেটিস আছে তাদের খাদ্যাভাসে বিটরুট থেকে শুরু করে সব খাবারেই ভারসাম্য ধরে রাখতেই হবে। এরপরও কোনো কোনো গবেষণার বরাতে বলা যায়, প্রতিদিন আধা কাপের কম বিটরুট খেলে তা খাওয়ার পর রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক প্রভাব রাখে।

চিনির সিরা মিশিয়ে, আচার বানিয়ে খেলে বিটরুট ডায়বেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর হবে না। তাই সেদ্ধ করে, ভাপিয়ে নিয়ে খেলে বিটরুটের উপকার ভোগ করা যাবে।


আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত