এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সাক্ষাৎ। দেখেই কাছে টেনে নিলেন অস্কারজয়ী কম্পোজার এ আর রহমান। ক্যামেরা চেয়ে নিয়ে তুললেন সেলফি। পরে অনেক ব্যস্ততার মাঝেও দিলেন সাক্ষাৎকার।
২০২২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৫-তম আসরে এসেছিলেন ‘লো মাস্ক’ ছবির পরিচালক হয়ে। ঐ বছর কানে প্রিমিয়ার হয় ছবিটির।
এ বছর কান উৎসবে যোগ দিয়ে ষষ্ঠ দিনে ভারতীয় প্যাভিলিয়নে উন্মুক্ত করলেন মিউজিক্যাল ডকুমেন্টারি ‘হেডহান্টিং টু বিগবক্সিং’- এর ফার্স্টলুক ও টিজারের।
রোহিত গুপ্ত পরিচালিত এই প্রামাণ্যে উঠে এসেছে সংগীতের মধ্য দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার সত্যিকারের বয়ান। এ আর রহমান যাকে বলছেন, রেনেসাঁ।
গেল বিশ বছর ধরে রক্তপাত, মৃত্যুতে বিধ্বস্ত নাগাল্যান্ড রাজ্যে কেমন করে শান্তি নেমে আসে, আর নেপথ্যে চালকের আসনে থাকে সংগীত- তাই তুলে ধরেছেন নির্মাতা ছবিটিতে।
আলাপে এ আর রহমান বললেন, “এটি পুরো বিশ্বের জন্য অনুপ্রেরণার। সংগীত এই রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মূল ভূমিকা রেখেছে। যখন পৃথিবী সংঘাত ও মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন এই ছবি দারুণ আশাবাদী করে তোলে।”
বললাম, এবার কানে এসে কেমন লাগছে? উত্তর তিন শব্দে। ‘দারুণ ভালো লাগছে’।
জানতে চাইলাম, ‘বাংলাদেশে মিউজিক করতে আগ্রহী কিনা?’
বললেন, “আমি তো অনেক কাজ এরমধ্যেই করেছি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকি’র ‘নো ল্যাণ্ডস ম্যানে’ কাজ করেছি। যদিও ছবিটি এখনো মুক্তি পায়নি। বাংলাদেশের অনেক মানুষের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি রিয়াঞ্জলী ভৌমিকের সাথে কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধু মুজিব সাহেবকে নিয়ে ‘বলো জয় বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে গান করেছি। তাই আমি বলতে পারি, বাংলাদেশের সাথে আমার ভালোই যোগাযোগ রয়েছে।”
জানার ইচ্ছে ছিল, কবি কাজী নজরুল ইসলামের অবিনাশী গান ‘কারার ঐ লৌহ কপাটে’ সুর বিকৃতি প্রসঙ্গে। উত্তরে বেশ আক্রমণাত্মকই মনে হলো।
বললেন, “আমি মনে করি বিষয়টির ইতি ঘটেছে। আপনি আবার প্রসঙ্গটি তুলেছেন। আমাদের জায়গা থেকে আমরা পরিষ্কার। আমরা যথাযথ পারমিশন নিয়েছি। যা যা আমাদের দরকার ছিল, আমরা তা করেছি। কেউ কেউ গানটি পছন্দ করেছে, কেউ কেউ ভালোবেসেছে, আমরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছি।”
এ প্রসঙ্গে আর কথা বলতে চাইলেন না অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড জয়ী এই ভারতীয় কম্পোজার।
শুধু শেষে হেসে বাংলায় বললেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’।
বললাম, আবার দেখা হবে।
তবে ছাড়লাম না, অটোগ্রাফ নেওয়ার সুযোগটা। গেলবার যে নেওয়া হয়নি!