Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

বিশ্ব চলচ্চিত্র আসরে নিয়মিত হওয়া নিয়ে যা বললেন দুই চলচ্চিত্রজন

cannesfestival-mostafa-samia-2024
[publishpress_authors_box]

ভুমধ্যসাগর পাড়ে কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৭-তম আসরে বাংলাদেশের কোন সিনেমা নেই। ২০২১ সালে ৭৫ তম আসরে ‘আঁ সার্তে রিগায় ‘রেহানা মরিয়ম নূরে’র আগে-পরে অনানুষ্ঠানিকভাবে এসেছে বেশ কিছু ছবি। উৎসবের ছবির বাজারে এসেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট লোকজনও।

গেল বছর ছবির বাজারে নেয়া হয়েছিল বাংলাদেশের স্টল। যদিও তা ফাঁকা ছিল। কানসহ বিশ্বব্যাপী এমন উৎসবে বাংলাদেশের নিয়মিত হওয়ার জন্য করণীয় নিয়ে কথা বলেছেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে দেশের দুই অভিজ্ঞ চলচ্চিত্রজন আহমেদ মুজতবা জামাল ও সামিয়া জামান।

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল কান চলচ্চিত্র উৎসবে ফিপ্রেসি জুরি ছিলেন ২০০২ সালে। সে জুরি বোর্ডের বিচারেই ডিরেক্টর ফোর্টনাইট জেতে তারেক মাসুদ পরিচালিত ‘মাটির ময়না’।

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল কান চলচ্চিত্র উৎসবে ফিপ্রেসি জুরি ছিলেন ২০০২ সালে। এবারও তিনি কানে যোগ দিয়েছেন। ছবি: লেখক

এবারের উৎসবে যোগ দিয়েছেন তিনি।  আলাপকালে তিনি বলেন , “আমাদের নবীন চলচ্চিত্র নির্মাতারা যেভাবে এগোচ্ছে তাতে আমি আশাবাদী। অন্যান্য দেশের ফেস্টিভালে আমাদের দেশের ছবির প্রচুর স্ক্রিনিং হচ্ছে। কানে হয়তো আমাদের অংশগ্রহণ কম। কানে সিলেকশন মানেই যে সেরা তা মনে করি না। হ্যাঁ, এটা অনেক প্রেস্টিজিয়াস, অনেক বড় একটা ফেস্টিভাল।”

কানে অংশগ্রহণে করণীয় প্রসঙ্গে মুজতবা জমাল বলেন, “একটা ফিল্ম সিলেকশনের জন্য ডিস্ট্রিবিউটরের বড় ভূমিকা আছে। আছে প্রোগ্রামারের ভূমিকা। আমাদের ফিল্ম মেকারদের ফিল্ম বানানোর পর একটা বড় বাজেট রাখতে হবে এই ইস্যুগুলোতে। বিশ্বব্যাপী এখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কনসেপ্ট এমনই। এখানে আমাদের বুথ থাকতে হবে। নেটওয়ার্কিং দরকার। দূতাবাস, বিএফডিসিসহ অনেক ধরনের মুভমেন্ট দরকার।”

আহমেদ মুজতবা জামালের কথার সুর ধরেই চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক সামিয়া জামান বলেন, “আমাদের দরকার সংগঠিত, সুচিন্তিত পরিকল্পনা। ছবির বাজারে তরুণদের অংশগ্রহণ।”

২০১৭ সালে ‘ঢাকা টু কান’ প্রজেক্টের পুরোধা চলচ্চিত্রজন, পরিচালক ও গণমাধ্যমকর্মী সামিয়া জামান। ছবি: লেখক

২০১৭ সালে কানে ‘ঢাকা টু কান’ প্রজেক্টের পুরোধা সামিয়া আরো বলেন, “সবার মধ্যে একটা ঐকমত্য হয়ে গেছে যে, বিশ্ব চলচ্চিত্র আসরগুলোতে আমাদের উপস্থিতি দরকার। আগামীতে আশা করি তা হবে। শুধু কান নয়, ইউরোপিয়ান ফিল্ম মার্কেট কিংবা বার্লিন কিংবা আরো যে ধরণের মার্কেট আছে, ডকুমেন্টারি সেকশন আছে-সেসব জায়গাগুলোতে বাংলাদেশের একটা সুদ্বীপ্ত ও সুউজ্জ্বল উপস্থিতি আমরা অচিরেই আশা করতে পারি”। কানের উদারহরণ দিয়ে সামিয়া বলেন, “কানের মার্শে দ্যু ফিল্মের মতো শক্তিশালী জায়গাটাতে এক্সপ্লোর করা দরকার। সেখানে আমাদের তরুণদের অংশগ্রহণের জন্য সরকারেরও পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। তবেই বিশ্ব চলচ্চিত্র আমাদের আসন সুদৃঢ় হওয়া সম্ভব।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত