স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণ বাংলাদেশের জন্য যেসব সুযোগ তৈরি করবে, সেক্ষেত্রে ব্যবসায়িক সংগঠন ও মানবসম্পদের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
এলডিসি উত্তরণের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ যত এগিয়ে যাবে, ততই বিশ্বের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে এদেশের ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে এক কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় নিরাপত্তা ও পূর্বাভাস প্রদানের ক্ষেত্রে বিরোধ নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে এলডিসি থেকে উত্তীর্ণ হতে চলেছে, যা আমাদের অর্থনৈতিক যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই পরিবর্তনটি প্রচুর সুযোগ তৈরি করবে, তবে এর জন্য আমাদের ব্যবসায়িক সংগঠন এবং মানবসম্পদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।”
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের পরিচালক জর্জ ক্যাস্ট্রো এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাব্লিউটিও অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী বক্তৃতা করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যতই এগিয়ে যাব, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) এবং সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক আলোচনায় জড়িত হবে। এছাড়া ইইউ, এসএএসইসি ও আসিয়ানের মতো আঞ্চলিক ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।”
তিন দিনব্যাপী এ কর্মশালায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নিচ্ছেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “তিন দিনের কর্মশালা ডব্লিউটিওর নিয়ম ও পদ্ধতি সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের বোধগম্যতা বৃদ্ধি করবে এবং তাদের কাজে এই অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করার সক্ষমতা উন্নত করবে।”
