Beta
সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

বাণিজ্য যুদ্ধে ট্রাম্পকে হারাতে চান কানাডার কার্নি   

লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি।
লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি।
[publishpress_authors_box]

কানাডায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিসরে গভীর অস্থিতিশীলতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি হতে যাচ্ছেন মার্ক কার্নি।

দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সাবেক এই গভর্নর রবিবার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় তিন প্রতিদ্বন্দ্বীকে বিপুল ব্যবধানে হারিয়েছেন।

আর বিজয়ী বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাণিজ্য যুদ্ধে পরাজিত করার অঙ্গীকারও করেন ৫৯ বছর বয়সী কার্নি।

আগামী কয়েকদিনের ভেতরে কার্নি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। তিনি আগামী নির্বাচনে লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব দেবেন।

কানাডায় আবাসন সংকট ও জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধিতে দেশের মানুষের মধ্যে অজনপ্রিয় হয়ে পড়েছিলেন ট্রুডো। তারা তাকে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায়।

এমন প্রেক্ষাপটে এ বছরের শুরুতে ৬ জানুয়ারি পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রায় এক দশক ক্ষমতায় থাকা ট্রুডো। এর পরপরই লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

বিবিসি জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কানাডার সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে পরাজিত করেন কার্নি।

কানাডার রাজধানী অটোয়াতে ভোটের ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে লিবারেল পার্টির কর্মী-সমর্থকরা।

দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নেতৃত্ব বাছাইয়ের প্রতিযোগিতায় দেড় লাখের বেশি মানুষ ভোট দেয়।

পার্লামেন্টে সংখ্যালঘু সরকার পরিচালনা করতে যাওয়া কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী কার্নি শপথ নেওয়ার পর নিজেই দ্রুত নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন অথবা এ মাসের শেষের দিকে বিরোধী দলগুলো অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তাকে নির্বাচন করতে বাধ্য করতে পারে।

বছরের শুরুতে ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণার পর কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি লক্ষণীয় রাজনৈতিক পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়, যা গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের হুমকি ও কানাডাকে অঙ্গরাজ্য করার ঘোষণায় আরও প্রকট হয়।

জাস্টিন ট্রুডো।

রবিবার ভোটের ফল পেয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের প্রতি দেওয়া কার্নির বক্তব্যের বড় অংশ জুড়েই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার কানাডার ওপর ট্রাম্পের ‘অযৌক্তিক শুল্ক’ আরোপ।

ক্ষমতায় বসার পর কানাডার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তিনি দুই দেশের বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পণ্যগুলোকে শুল্ক থেকে অব্যাহতি দেয়।

প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেন ট্রুডো। একই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে কানাডার অর্থনীতি ধ্বংস করার অভিযোগও করেন তিনি।

পূর্বসূরির অভিযোগের সঙ্গে গলা মিলিয়ে বিজয়ী বক্তব্যে কার্নি বলেন, “আমার দেশের শ্রমজীবী মানুষ, তাদের পরিবার ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর আক্রমণ করছেন ট্রাম্প।   

“আমরা তাকে বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ী হতে দেব না।”

তিনি জানান, তার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর থেকে আরোপিত শুল্ক তুলবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না যুক্তরাষ্ট্র সরকার কানাডিয়ানদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।   

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত