ভূমি উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে তার সাবেক স্ত্রীর করা মামলায় ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত সোমবার মুয়াজ আরিফের সাবেক স্ত্রী নীলা ইসরাফিল রমনা মডেল থানায় মামলটি করেন। মামলার এজাহার বুধবার আদালতে আসে।
এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিন তা গ্রহণ করে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
অভিযোগে বলা হয়, মুয়াজ আরিফ গত ২৯ নভেম্বর বিকালে তার সাবেক স্ত্রী নীলাকে ঢাকা ক্লাবের বারে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। এসময় তাকে হত্যার চেষ্টাও করেন মুয়াজ আরিফ।
২০২১ সালের এপ্রিলে বিচ্ছেদ হয় মুয়াজ ও নীলা দম্পতির। তার আগের ও পরের কয়েক বছর ধরেই একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলাসহ নানা অভিযোগ তুলছেন। এমনকি দুই পক্ষ একাধিকবার একে অন্যের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন।
২০২১ সালের জুনে মুয়াজ আরিফকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নীলাকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। তখন তিনি নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। কারাগারেই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
এরপর কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে ঢাকার নিউ মার্কেট থানায় মুয়াজ আরিফের বিরুদ্ধে নির্যাতন, ভ্রুণ হত্যা ও বড় সন্তানকে আটকে রাখার অভিযোগে মামলা করেন। তখন নীলা অভিযোগ তোলেন তাকে মারধর, মামলা, আদালত থেকে জামিন না পাওয়া সবই হয়েছে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফের ইশারায়।
নীলার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০২২ সালের মার্চে প্রীতি সাঈদকে বিয়ে করেন মুয়াজ। এরপর বন্ধুদের সহায়তায় প্রীতি সাঈদের হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে নীলার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এখন আবার মুয়াজের বিরুদ্ধে মামলা করলেন নীলা। মামলা করার আগে তিনি নিজের ফেইসবুক পেজে মুয়াজ আরিফের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পোস্ট দেন। এমনকি তিনি এসব নিয়ে লাইভও করেন যা বেশ আলোচনায় আসে।
মামলার এজাহারে নীলা ইসরাফিল অভিযোগ করেন, গত ২৯ নভেম্বর বিকালের দিকে দুই সন্তান ও গৃহকর্মীসহ গাড়িতে মুয়াজের বাসায় গিয়ে তাকে নিয়ে ঢাকা ক্লাবে যান। সেখানে মুয়াজ তাকে মারধর ও নির্যাতন করেন। এক পর্যায়ে ক্লাবের ডেস্কে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পরে ক্লাবের কর্মী ও তার গৃহকর্মী এসে তাকে উঠিয়ে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
এ সুযোগে মুয়াজ তার বাসা থেকে চারটি ল্যাপটপ, ১৭০০ সুইস ফ্রাঙ্কসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যায় বলেও এজাহারে অভিযোগ করেন নীলা।