একটি প্রকল্পের জন্য বাস্তবায়িত কাজের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্পটির সাবেক প্রকল্প পরিচালক মো. সাইদুর রহমান এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘টার্বো মেশিনারি সার্ভিসেস বাংলাদেশের’ প্রোপাইটর ড. ফজলে মাহবুবকে আসামি করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বরগুনার তালতলীতে ‘পরিবেশ বান্ধব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠায় সম্ভাব্যতা যাচাই’ প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে না করে সেই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
এই অভিযোগে মঙ্গলবার দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক তাপস বিশ্বাস মামলা করেন।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বরগুনার তালতলীর বঙ্গোপসাগরের মোহনায় পরিবেশবান্ধব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প নির্মাণে ‘পরিবেশ বান্ধব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠায় সম্ভাব্যতা যাচাই’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ১২ নভেম্বর অনুমোদন দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। এতে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে যোগ দেন সাইদুর রহমান।
প্রকল্পটির জন্য মূল্যায়ন কমিটির বাছাইয়ে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয় দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান জেনটেক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড; যার দেশীয় এজেন্ট ‘টার্বো মেশিনারি সার্ভিসেস বাংলাদেশ’। সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত মূল পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হওয়া জেনটেক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে বাদ দিয়ে প্রকল্প পরিচালক ‘টার্বো মেশিনারি সার্ভিসেস বাংলাদেশের’ সঙ্গে চার কোটি ৬২ লাখ টাকার চুক্তি সই করেন।
পরে ঠিকাদার ফজলে মাহবুবের আবেদনের ভিত্তিতে প্রকল্প পরিচালক সাইদুর রহমানকে দুই কিস্তিতে মোট ২ কোটি ৭৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। পরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকল্পের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, সার্ভে কাজের সঠিকতা যাচাইয়ে বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে এক তদন্তে প্রকল্পে সঠিকভাবে কাজ না করে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প পরিচালক যোগসাজশ করে অতিরিক্ত ১ কোটি ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।