Beta
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

পাকিস্তানে আইসিসি টুর্নামেন্ট ২৯ বছর পর

l3
[publishpress_authors_box]

১৯৯৬ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়েছিল পাকিস্তানে। সেটা ভারত-শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে। এরপর আইসিসি আয়োজন করেছে মর্যাদার ৫৬টি টুর্নামেন্ট, কিন্তু নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তানের কপাল খুলেনি। অবশেষে ২৯ বছর পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে আবারও আইসিসি টুর্নামেন্ট ফিরল পাকিস্তানে। আজ (বুধবার) পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির।

১৯৯৬ সালের পর আইসিসি আয়োজন করেছে ৫৬টি টুর্নামেন্ট। এর মধ্যে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ৭টি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ৯টি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ৯টি, মেয়েদের ক্রিকেটে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ৭টি আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ৯টি। ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপও হয়েছে ১৪ বার। অবশেষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে দূর হল পাকিস্তানের আক্ষেপ।

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেনের হামলা আর আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণের প্রভাব পড়েছিল পাকিস্তানে। ২০০২ সালে করাচিতে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটাররা যে হোটেলে উঠেছিলেন, তার কাছেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটলে সফরটি বাতিল করে দেশে ফিরে যায় কিউইরা।

২০০৯ সালের মার্চে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইরে শ্রীলঙ্কা দলের টিম বাসে হয়েছিল সন্ত্রাসী হামলা।

সে বছর অস্ট্রেলিয়াও বাতিল করে পাকিস্তান সফর। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজটি পাকিস্তান খেলে শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাতে। ২০০৮ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পাকিস্তানে হওয়ার কথা থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকা দল পাঠাতে আপত্তি জানায়। টুর্নামেন্টটা সরে যায় পাকিস্তান থেকে।

২০০৯ সালের মার্চে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইরে শ্রীলঙ্কা দলের টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলায় পরিস্থিতি জটিল হয় আরও। এরপর ৬ বছর আইসিসির কোনো পূর্ণ সদস্যদেশ আর পাকিস্তান সফরে যায়নি। 

২০১৫ সালের মে মাসে জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে এলে কাটতে শুরু করে স্থবিরতা। এরপর বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডসহ সব দেশই সফর করেছে পাকিস্তান। তবে রাজনৈতিক কারণে যায়নি শুধু ভারত। এমনকি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও দল পাঠাচ্ছে না তারা।

লাহোর ফোর্টে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ী পাকিস্তানি ক্রিকেটারারা।

এ নিয়ে আল-জাজিরায় ‘ক্রিকেট ইন পাকিস্তান: নেশন, আইডেনটিটি অ্যান্ড পলিটিকস’ বইয়ের লেখক আলী খান বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানকে সম্ভবত সব জায়গা থেকেই বিচ্ছিন্ন করতে চায় নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় সরকার।’’

নিরাপত্তা শঙ্কা যে একেবারেই নেই, তাও নয়। সিআইএসএস হিসাব অনুযায়ী শুধু গত বছর পাকিস্তানে ৭০০ নিরাপত্তাকর্মী, ৯০০ সশস্ত্র ব্যক্তিসহ আড়াই হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। এর বেশির ভাগই অবশ্য উত্তর-পশ্চিমের খাইবার পাখতুনখাওয়া আর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেলুচিস্তান প্রদেশে।

হামলা ও নিরাপত্তার শঙ্কা কাটিয়ে পাকিস্তান সফলভাবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ করতে পারে কিনা সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত