চ্যাম্পিয়নস ট্রফি কি আদৌ পাকিস্তানে হবে? ভারত এরই মধ্যে জানিয়েছে তারা পাকিস্তানে খেলতে যাবে না। এরপর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে না আসলে ‘ভারত বয়কট’ করতে চায় পাকিস্তান। আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে তারা ভারতের সঙ্গে না খেলার হুমকি দিয়েছে। এমনকি ২০৩৬ সালে ভারত যেন অলিম্পিক আয়োজন করতে না পারে সেই লড়াইও চালাবে পাকিস্তান!
দুই দেশ অনড় থাকায় বিপাকে আইসিসি। পাকিস্তান হাইব্রিড মডেলে রাজি না হলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নাকি দক্ষিণ আফ্রিকায় সরিয়ে নিবে তারা। এসবই অবশ্য দুই দেশের মিডিয়ার খবর। দুই দেশের বোর্ড আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি এখনও।
আইসিসি এমন উত্তেজনায় আপাতত জল ঢেলেছে নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সেই ভিডিওতে আয়োজক হিসেবে জানানো হয়েছে পাকিস্তানের নাম। দেড় মিনিটের ভিডিওটিতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পাশাপাশি আয়োজক পাকিস্তান এবং ক্রিকেটের ঐতিহ্যও ফুটে উঠেছে।
এরই মধ্যে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি ‘এক্স’-এ স্মরণ করালেন অলিম্পিকের চেতনা। ভেদাভেদ ভুলে ক্রিকেটের মাধ্যমে এক হওয়ার আহবানও জানিয়েছেন আফ্রিদি, ‘‘১৯৭০ এর শেষ দশকের পর ক্রিকেট এখন গুরুত্বপূর্ণ মোড়কে, সম্ভবত এটির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এখনই সময় ভেদাভেদকে দূরে সরিয়ে খেলাটির মাধ্যমে আমাদের একত্রিত হওয়ার। ঐতিহাসিকভাবে বিভক্ত দেশগুলো যদি অলিম্পিকের চেতনায় একত্রিত হতে পারে তবে কেন আমরা ক্রিকেট আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য একই কাজ করতে পারি না।’’
পাকিস্তানের জিও টেলিভিশনের ওয়েবসাইট জিও সুপার আবার জানিয়েছে, ‘‘আইসিসিকে লেখা চিঠিতে পিসিবি বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চায়। পিসিবি আইসিসিকে পাঠানো বিসিসিআইয়ের সেই চিঠির প্রতিলিপি দেখতে চায়, যেন নিজেরা একটা পর্যালোচনা করতে পারে।
পিসিবি আরও জানতে চেয়েছে বিসিসিআই কখন আইসিসিকে জানিয়েছে যে তারা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে দল পাঠাবে না পাকিস্তানে। তারা কি কারণ দেখিয়েছে সেটাও জানতে চায় পিসিবি।’’
সবমিলিয়ে পুরো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই এখন ডামাডোলে।