Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

কলাম

ছায়ানটের বর্ষবরণ: বাঙালির প্রতিবাদ ও প্রাণের স্পন্দন

রমনার বটমূলে বর্ষবরণ। শিল্পী: তরুণ ঘোষ।

ঢাকায় রমনার বটমূলে যে বৈশাখ পালন করা হয় তার একটা ভিন্ন প্রেক্ষাপট আছে। বৈশাখের প্রথম দিনের এই উৎসব বাঙালি জাতিসত্তার ধারায় স্নাত হয়ে আমাদের স্বরূপ সন্ধানে সহায়ক হয়েছে। এটা আমাদের জাতীয় সংকট থেকে সঞ্জাত।

পাকিস্তানি শাসকরা প্রথম বাঙালির ওপর চড়াও হয়েছিল মাতৃভাষা বাংলাকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার মাধ্যমে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই প্রচেষ্টা নস্যাৎ হয়। বাংলাকে মাতৃভাষার স্বীকৃতি দিতে তারা বাধ্য হয়। যদিও অর্থনৈতিক শোষণের পাশাপাশি তারা শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্তের ওপর সাংস্কৃতিক বিধিনিষেধ আরোপ করতে থাকে।

তাদের প্রধান শত্রু হয়ে দাঁড়ায় রবীন্দ্রনাথ। সেই সময় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড মানেই রবীন্দ্রনাথের গান। রবীন্দ্রসঙ্গীতের মাধ্যমেই দিন বদলের অঙ্গীকার— তার মাধ্যমেই প্রতিবাদ। এক সময় শিল্পীরা লাল টিপ পরে প্রতিবাদের গান গাইতেন। তখন রবীন্দ্রসঙ্গীতের পাশাপাশি লাল টিপও নিষিদ্ধ হয়েছিল। সন্‌জীদা খাতুনের লেখা স্মৃতিকথা ‘জীবনবৃত্ত’ পড়লে এসব তথ্য জানা যায়।

পাকিস্তান আমলে ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষে রবীন্দ্রবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রনাথকে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করে। তখন এ দেশের সাংস্কৃতিক কর্মীরা প্রতিবাদী হয়েছেন। তখন ছিল জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসন।

ঢাকা শহরে জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের জন্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের উদ্যোগে একটি কমিটি, বিচারপতি এসএম মুরশেদের নেতৃত্বে নাগরিকদের একটি কমিটি এবং প্রেস ক্লাবে তরুণ শিল্পী-সাহিত্যিক-সাংবাদিকদের আরেকটি কমিটি গঠিত হয়। তখন সম্মিলিতভাবে ২৪ থেকে ২৭ বৈশাখ চারদিনব্যাপী রবীন্দ্র জন্মোৎসব পালন করা হয়।

অনুষ্ঠান উদ্বোধন করতে গিয়ে বিচারপতি মুরশেদ রবীন্দ্রনাথকে ‘উদার মানবতার কবি’ হিসেবে অভিহিত করেন। সামরিক শাসনের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে উদ্দীপ্ত করে। রবীন্দ্রনাথকে আশ্রয় করে সাংস্কৃতিক আন্দোলন এক ধাপ এগিয়ে যায়।

তাদের প্রধান শত্রু হয়ে দাঁড়ায় রবীন্দ্রনাথ। সেই সময় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড মানেই রবীন্দ্রনাথের গান। রবীন্দ্রসঙ্গীতের মাধ্যমেই দিন বদলের অঙ্গীকার— তার মাধ্যমেই প্রতিবাদ। এক সময় শিল্পীরা লাল টিপ পরে প্রতিবাদের গান গাইতেন। তখন রবীন্দ্রসঙ্গীতের পাশাপাশি লাল টিপও নিষিদ্ধ হয়েছিল। সন্‌জীদা খাতুনের লেখা স্মৃতিকথা ‘জীবনবৃত্ত’ পড়লে এসব তথ্য জানা যায়।

জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজকদের এক আনন্দ-সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা সাংস্কৃতিক আন্দোলন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে একটি সংগঠন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। সেদিনই বেগম সুফিয়া কামালকে সভাপতি ও ফরিদা হাসানকে সম্পাদক করে ‘ছায়ানট’-এর প্রথম কমিটি গঠন করা হয়।

প্রথম দিকে ছায়ানটে শ্রোতার আসর হতো। প্রথম আসরে গেয়েছিলেন ফিরোজা বেগম। দ্বিতীয়টায় ফাহমিদা খাতুন। এরপর বারীন মজুমদার, ইলা মজুমদার। কখনও সেতার বাজালেন খাদেম হোসেন খান।

সন্‌জীদা খাতুন আর ওয়াহিদুল হক ছিলেন সংগঠক বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে। এক সময় ওয়াহিদুল হক একটা গানের স্কুল খোলার প্রস্তাব করেন। এভাবেই শুরু হয় ছায়নট সঙ্গীত বিদ্যালয়। প্রথম দিকে মোখলেসুর রহমান সিধু ভাইয়ের টাকায় স্কুল চলতো। পরে আরও অনেকেই চাঁদা দিয়ে স্কুল চালাতেন।

এই স্কুলই বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিমণ্ডলে শিল্পসংস্কৃতি চর্চার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। পাকিস্তানি শাসকরা যখন দেশের সবাইকে মুসলমান বানানোর চেষ্টা করেছে, বাঙালিদের আলাদা অস্তিত্ব অস্বীকার করেছে, বাঙালি সংস্কৃতিকে গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছে— সেই সময় ছায়ানট প্রতিবাদী হয়েছে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দিয়ে দেশবাসীকে একত্র করার চেষ্টা করেছে।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যখন ধর্মের ধুয়ো তুলে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলো— তখন পাকিস্তানি এ অপশাসনকে অগ্রাহ্য করে বাঙালি সংস্কৃতিকে জাতির জীবনে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত ছায়ানট নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন হয়ে উঠেছিল একটি আন্দোলন। উৎসবের আশ্রয়ে প্রতিবাদের উন্মেষ ঘটেছিল ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।

১৯৬৭ সালে ঢাকায় রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের আবাহন অনুষ্ঠান শুরু করে এই প্রতিষ্ঠান। রমনা বটমূলে অনুষ্ঠান করার পেছনেও একটা ইতিহাস আছে। পাকিস্তান আমলের প্রথম দিকে ঘরোয়াভাবে নববর্ষ পালন করা হতো। তখন কৃষ্ণচূড়ার ডাল দিয়ে সাজানো সান্ধ্য আসরে মিলিত হতেন কিছু সংস্কৃতিমনা মানুষ। কারও বাসার ড্রয়িংরুমে, কারও বাসার আঙিনায় প্রাণপ্রাচুর্যের সঙ্গে পালিত হতো নববর্ষ উৎসব।

ছায়ানটের সংগঠকরা সেই সময় থেকেই বর্ষবরণের জন্য একটু উন্মুক্ত স্থান খুঁজছিলেন। ১৯৬৭ সালে উদ্ভিদ জিনতত্ত্ব বিজ্ঞানী ও আলোকচিত্রী ড. নওয়াজেশ আহমদ প্রথম রমনা বটমূলের সন্ধান দেন। জায়গাটি তখন ছিল মানুষের চলাচলবিহীন এবং বড় বড় ঘাসে ছাওয়া।

বিশাল এক অশ্বত্থ বৃক্ষ ছিল সেখানে। কিন্তু আমন্ত্রণপত্রে লেখা হলো ‘বটমূল’। কারণ পঞ্চবটের মধ্যে রয়েছেঅশ্বত্থ, বট, বিল্ব, আমলকী ও অশোক। বটমূল কথাটা শুনতেও বেশ লাগে। কাজেই অশ্বত্থতলাকে বটমূল অভিহিত করতে উদ্যোক্তাদের তেমন কারও আপত্তি থাকলো না। ছায়ানটের সুহৃদ ও কর্মীরা মিলে জায়গাটা পরিষ্কার করে অনুষ্ঠান উপযোগী করে তুললেন।

গোড়ার দিকে সেখানে সঙ্গীত পরিবেশন করতে গিয়ে শিল্পীদের যথেষ্ট বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছিল। সন্‌জীদা খাতুন লিখেছেন, ‘‘বটগাছের উপর থেকে ছোট ছোট শুঁয়ো পোকা ঝরে পড়তো ঘাড়ে, মাথায়, গায়ে। অনুষ্ঠান শেষে হাত পা ঘাড় চুলকে লাল করে ফেলতো সবাই। আশ্চর্য এই, গান চলাকালে সবাই চুপ করে সয়ে যেতো ওই যন্ত্রণা। বেশি নড়াচড়া করলে দেখতে খারাপ হবে, বর্ষবরণে গান গাইতে গাইতে অস্থিরতা প্রকাশ করলে অনুষ্ঠানের সৌকর্য নষ্ট হবে। শিল্পী আর শিক্ষার্থীরা সে কথা মনে রেখেছে।

…পরের বছর গাছের ডালেরই কতকগুলো ছোট ছোট কাঠি দিয়ে দিয়েছিলাম সবার হাতে। যেন ধীরভাবে শরীর থেকে পোকা সরিয়ে ফেলা যায়। পোকা সরিয়ে দিতে হোক বা যা-ই হোক, সবাইকে উদ্বুদ্ধ করবার জন্যে প্রশান্ত মুখে ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও’ এই প্রার্থনা উচ্চারণ করতেই হবে!’’

প্রথমদিকে বর্ষ আবাহনের অনুষ্ঠানে কেবল রবীন্দ্রনাথের গানই থাকত। পরে যুক্ত হলো নজরুল, অতুলপ্রসাদ, দ্বিজেন্দ্রলালের গান এবং আরও পরে দেশের গান, লোকগীতি, লালনের গান ইত্যাদি। প্রথম প্রথম পহেলা বৈশাখের ভোরে রমনার সেই বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে খুব জনসমাগম হতো না। তবে ধীরে ধীরে শ্রোতা বাড়তে থাকে।

তখন গানের শিল্পী পাওয়াও কঠিন ছিল। সন্‌জীদা খাতুন লিখেছেন, ‘‘একক গানের জন্য শিল্পী সংগ্রহ করতে হতো বাইরে থেকে। কলিম শরাফী, বিলকিস, নাসিরুদ্দীন, মালেকা আজিম খান, ফাহমিদা খাতুন, জাহানারা ইসলাম, মাহমুদা খাতুন, চৌধুরী আবদুর রহিম, পাকিস্তানের শেষ দিকে আগরতলা মামলায় অভিযুক্ত সরকারের বিরাগভাজন আমলা শামসুর রহমানের পত্নী আফসারী খানম… আরো কতজন!’’

পরবর্তী সময়ে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদী চেতনার পালে যতই হাওয়া লেগেছে ততই উৎসবমুখর হয়েছে নববর্ষের আয়োজন। পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধকরণসহ সাংস্কৃতিক নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করার পরও নববর্ষে লাগে নিত্য নতুন উদ্দীপনা। দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সরকার পহেলা বৈশাখকে জাতীয় পার্বণ হিসেবে ঘোষণা করেন।

বাঙালির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রথম ইস্যু ছিল ভাষা। একুশে ফেব্রুয়ারির স্মারক শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করে বাঙালি প্রথম ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। দ্বিতীয়বার বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল পহেলা বৈশাখকে ঘিরে। বাঙালির নববর্ষ বাংলা নতুন বছরের উৎসব আয়োজনটি বাঙালিকে আরেকটি মিলনবিন্দুতে ঘনিষ্ঠ করলো।

পহেলা বৈশাখ বাঙালিত্বের শপথ নেওয়ার দিন। পোশাক-আশাকে, আচার-আচরণে বাঙালিত্বের বলিষ্ঠতা ঘোষণা হয় সেদিন। বাঙালির কবিতা, বাঙালির সাহিত্য, বাঙালির নৃত্যগীতে আমাদের অধিকার চিরন্তন— এসব কথা বলতে, বুঝে নিতে, বুঝিয়ে দিতে শুরু হয়েছিল বটমূলের প্রভাতি সমাবেশ।

পহেলা বৈশাখের এ অনুষ্ঠান বাঙালিকে তার জাতিসত্তা সম্পর্কে সচেতন করেছে। পাকিস্তানি শাসকরা যখন বাঙালি সংস্কৃতি বিকাশে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছিল, তখন ছায়ানটের এ অনুষ্ঠান মানুষের মনে বাঙালি সংস্কৃতিচর্চার আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করেছে।

মানুষ রমনার বটমূলে কেবল গান শোনার জন্যে সমবেত হয়নি, নববর্ষের প্রথম দিনে একে অন্যের সঙ্গে মিলিত হয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে, আনন্দ প্রকাশ করেছে।

ছায়ানটের এ অনুষ্ঠান বাঙালিকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছে। যে অধিকার নিয়ে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিকভাবে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। সংস্কৃতিচর্চা রাজনৈতিক আন্দোলনে শক্তি যুগিয়েছে। গণঅভ্যুত্থান, অসহযোগ আন্দোলন হয়ে আমরা পৌঁছেছি স্বাধীনতা যুদ্ধে।

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হলো স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। স্বাধীন বাংলাদেশে ছায়ানটের নববর্ষের অনুষ্ঠান আরও ব্যাপ্তিলাভ করে। কিন্তু বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে চক্রান্ত থেমে নেই।

পহেলা বৈশাখ বাঙালিত্বের শপথ নেওয়ার দিন। পোশাক-আশাকে, আচার-আচরণে বাঙালিত্বের বলিষ্ঠতা ঘোষণা হয় সেদিন। বাঙালির কবিতা, বাঙালির সাহিত্য, বাঙালির নৃত্যগীতে আমাদের অধিকার চিরন্তন— এসব কথা বলতে, বুঝে নিতে, বুঝিয়ে দিতে শুরু হয়েছিল বটমূলের প্রভাতি সমাবেশ।

২০০১ সালের পহেলা বৈশাখে অনুষ্ঠান চলাকালে হঠাৎ গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১০ জন নিহত হন। আহত হয় অনেকে। ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠী গ্রেনেড হামলা করে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা সফল হয়নি। ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে জনসমাগমকে রুদ্ধ করা যায়নি। ধর্মান্ধরা জানে না, অজেয় বাঙালিকে কখনও ভয় দেখিয়ে স্তব্ধ করা যাবে না।

পাকিস্তানি সামরিক শাসকের প্রেতাত্মারা এখনও ধর্মের দোহাই দিয়ে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এবং চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন বন্ধ করে দিতে চায়। বাংলাদেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় সংকট সাম্প্রদায়িকতা— পাকিস্তানি ভাবাদর্শের সমর্থক জঙ্গিবাদ। কিছু কিছু রাজনৈতিক দল তাদের হীন স্বার্থ উদ্ধারের জন্যে এদের আশ্রয় দিচ্ছে— লালন-পালন করেছে। সাম্প্রদায়িকতা ক্রমেই সামাজিক পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। রাজনৈতিক শক্তিও সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপস করছে। এতে করে মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে দেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে— সোচ্চার হতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে সাম্প্রদায়িক শক্তি ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে। মানুষের সামনে এগিয়ে চলার গতিকে কখন কোনও অপশক্তি রোধ করতে পারে না।

লেখক: লেখক ও কলামিস্ট।
ইমেইল: chiros234@gmail.com

চিররঞ্জন সরকার। প্রতিকৃতি অঙ্কন: সব্যসাচী মজুমদার।

ad

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত