ঢাকায় গোপন বন্দিশালা ও নির্যাতন সেল হিসেবে পরিচিত ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার ঢাকার উত্তরা, আগারগাঁও ও কচুক্ষেতের তিনটি বন্দিশালা পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীরা।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসস এসব কথা জানিয়েছে।
ভুক্তভোগীরা নির্যাতনের ভয়াবহতার প্রতীক হিসেবে কচুক্ষেত বন্দিশালার দেয়ালগুলো দেখান। এছাড়া আগারগাঁও বন্দিশালায় একটি ইলেকট্রিক চেয়ারও দেখানো হয় প্রধান উপদেষ্টাকে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের শাসনকালে বহু মানুষকে গুম করার অভিযোগ রয়েছে।
সরকার পতনের পর ইউপিডিএফ-এর সংগঠক মাইকেল চাকমা, ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাশেম আরমান এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল আমান আযমি দীর্ঘদিন পরে ফিরে এসে তাদেরকে ‘আয়নাঘরে’ আটকে রাখার অভিযোগ তোলেন।
আয়নাঘর মূলত গোপন বন্দিশালা। শেখ হাসিনা সরকারের এই গোপন বন্দিশালা বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি আন্তর্জাতিকসহ দুটি সংবাদ মাধ্যম। সেখানে বন্দিশালাগুলোকে আয়নাঘর হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই এগুলো আয়নাঘর নামে অভিহিত হতে থাকে।