কয়েক মাস ধরেই ছিলেন আলোচনায়, গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন তুমুল আলোচনায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী; রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় এখন তিনি কারাগারে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভের ডাক দিয়ে প্রচারে আসেন তিনি।
সেই বিক্ষোভের সময় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটিতে আসামি করা হয় তাকে। প্রায় এক মাস পর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ফেরার পথে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
সনাতনী সাধু চিন্ময়কে গ্রেপ্তারের পর ঢাকায় বিক্ষোভে নামে হিন্দু সম্প্রদায়; বিক্ষোভ হয়েছে চট্টগ্রামেও। তাকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে ইসকন।
চিন্ময়কে গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত সরকারও। দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের নেতা বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে একজন উপদেষ্টা বলেছেন, রাষ্ট্রদ্রোহের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সম্প্রদায় দেখা হবে না।
কে এই চিন্ময় ব্রহ্মচারী?
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর প্রকৃত নাম চন্দর কুমার ধর। যতদূর জানা যায়, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘে (ইসকন) যোগ দেওয়ার পর তিনি নতুন নাম নেন। চট্টগ্রাম পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় ব্রহ্মচারীকে তার অনুসারীরা ‘চিন্ময় প্রভু’ বলেই ডাকেন।
বাংলাদেশে ইসকনের মুখপাত্রের ভূমিকায় কাজ করেছেন তিনি। বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত তিনি।
গত আগস্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হলে তার প্রতিবাদে গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে সমাবেশ হয় ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চ’ ব্যানারে। ওই সমাবেশের অন্যতম উদ্যোক্তা ও মুখপাত্র ছিলেন চিন্ময়।
এরপর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময়কে।
কী নিয়ে মামলা, কেন গ্রেপ্তার
২৫ অক্টোবর সমাবেশের দিন চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপরে ইসকনের গেরুয়া রঙের আরেকটি পতাকা ওড়ানোর অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে ৩০ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়।
সেই মামলায় চিন্ময়সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০(খ), ১২৪(ক), ১৫৩(ক), ১০৯ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। মামলায় চিন্ময়ের পাশাপাশি চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্তসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়।
এরমধ্যে ঢাকায় এসেছিলেন চিন্ময়। চট্টগ্রামে ফেরার পথে সোমবার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার চিন্ময়কে আদালতে তোলা হয়। আদালতে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম।
কে করেছিলেন মামলা
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন চট্টগ্রাম নগরীর মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান। তিনি উত্তর মোহরার স্বরূপ খান চৌধুরী সড়কের স্বরূপ খান চৌধুরী বাড়ির মো. আব্দুল হালিমের ছেলে।
তবে এই মামলা করার পর দলের বিরাগভাজন হতে হয়েছে ফিরোজকে। দুদিন পরই তাকে পদচ্যুত হতে হয়।
সংগঠনকে না জানিয়ে ওই মামলা করায় চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার সভাপতি মোহাম্মদ আজম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন ভুঁইয়া কেন্দ্রের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেন।
ফিরোজকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, দলের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মামলার পর বিক্ষোভ, গ্রেপ্তারের পরও
চিন্ময়ের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরদিন ৩১ অক্টোবর বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেখান থেকে পরদিন শুক্রবার দেশের ৬৪ জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।
সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। চট্টগ্রামের বিক্ষোভে বিপুল উপস্থিতি বেশ আলোচনা তৈরি করে।
সেই সমাবেশ থেকে ৪ নভেম্বরের মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। নইলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচিও নিয়েছিল সনাতন জাগরণ মঞ্চ।
২ নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণসমাবেশ ও মিছিল শেষে চিন্ময় ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায় সংখ্যালঘু ঐক্য মোর্চা।
সোমবার চিন্ময়কে গ্রেপ্তারের পরও সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোট সারাদেশে জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়।
এতে সাড়া দিয়ে চট্টগ্রামের চেরাগি পাহাড় মোড়ে সোমবার বিক্ষোভ সমাবেশ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ঢাকার শাহবাগ মোড়েও অবস্থান নেয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। সেখানে তাদের ওপর হামলার অভিযোগও উঠেছে।
এছাড়া টাঙ্গাইল, বরিশাল, রংপুর, সাতক্ষীরা, নাটোর, খুলনা, রাঙামাটি, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে।
মঙ্গলবার চিন্ময়কে চট্টগ্রামের আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়ার পর ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়। চিন্ময়ের অনুসারীরা তিন ঘণ্টা প্রিজন ভ্যান আটকে রাখেন। এক পর্যায়ে পুলিশ-র্যাব গিয়ে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ও লাঠিপেটা শুর করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের মধ্যে একজন আইনজীবী নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন ২০ জন।
অব্যাহতি দিলেও ইসকনের প্রতিবাদ
চট্টগ্রামে সনাতন জাগণ মঞ্চের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে নগরীর আন্দরকিল্লার হাজারী গলিতে সহিংসতার এক ঘটনার সঙ্গে ইসকনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছিল।
ইসকন সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চিন্ময় ব্রহ্মচারীকে সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়। গত ৮ নভেম্বর ঢাকার স্বামীবাগ ইসকন আশ্রমে এক সংবাদ সম্মেলন করে তা জানায় আন্তর্জাতিক সংগঠন ইসকনের বাংলাদেশ শাখা।
কিন্তু তারপরও চিন্ময়কে গ্রেপ্তারের নিন্দা জািনয়েছে ইসকনের মূল শাখা। এবিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপও চেয়েছে তারা।
সোমবার তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে ইসকন চিনন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানায়।
বাংলাদেশে বিভিন্ন মহল থেকে ইসকন নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, তার প্রতিবাদ জানিয়ে সেই পোস্টে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসকনের যুক্ত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং অত্যন্ত আপত্তিজনক।
“ইসকন ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে যেন তারা অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে যে আমরা একটি শান্তিপ্রিয় ভক্তি আন্দোলন।”
চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করাকে বাংলাদেশে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কণ্ঠরোধ এবং দমন করার চেষ্টা’ বলে নিন্দা করেছে রাইটস অ্যান্ড রিস্কস অ্যানালাইসিস গ্রুপ (আরআরএজি)।
আরআরএজির পরিচালক সুহাস চাকমা এক বিবৃতিতে বলেন, “এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি করা হয়েছে, যাতে হিন্দু সংখ্যালঘুরা সংগঠিত হতে না পারে ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারে।”
বিরোধী মত দমনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ব্যবহার করছে অভিযোগ করে আরআরএজি চিন্ময় ব্রহ্মচারীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া, বিজেপি নেতার হুমকি
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নয়া দিল্লির কূটনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার এবং জামিন না দেওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতি আসে।
তাতে বলা হয়, “শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার ও জামিন না দেওয়ার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। তিনি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র।”
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, “এর আগে বাংলাদেশে উগ্রপন্থীদের হাতে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, মূর্তি ও মন্দির ভাঙচুরের বহু প্রমাণিত ঘটনা রয়েছে।
“এটি দুঃখজনক যে, এসব ঘটনার অপরাধীরা মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ শান্তিপূর্ণ সমাবেশে যৌক্তিক দাবি উপস্থাপনকারী একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে। শ্রী দাসের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করা সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনাও আমাদের গভীর উদ্বেগের কারণ।”
Our statement on the arrest of Chinmoy Krishna Das:https://t.co/HbaFUPWds0 pic.twitter.com/cdgSx6iUQb
— Randhir Jaiswal (@MEAIndia) November 26, 2024
ভারত সরকার হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সব সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি আসার আগেই কড়া বার্তা আসে দেশটিতে ক্ষমতাসীন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। চিন্ময়কে মুক্তি না দিলে বাংলাদেশ সীমান্ত অবরোধের হুমকি দেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধান সভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু কলকাতার সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে মৌলবাদী ডক্টর ইউনূস সরকার গ্রেপ্তার করেছে। আমরা এই খবর পেয়ে অত্যন্ত বিচলিত ও চিন্তিত। আমরা সকলে ভাবিত। তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।
“মুক্তি না দিলে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে বিক্ষোভ হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তে সনাতনীরা ধ্বজা নিয়ে অবরোধ করবে। বাংলাদেশে ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে কোনও পরিষেবা নিতে দেব না।”
এই ঘটনায় মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার সামনে বিক্ষোভ করেছে বিজেপির বিধায়করা। তাদের সবার হাতে পোস্টারে লেখা ছিল ‘চিন্ময় মহাপ্রভুর নিঃশর্ত মুক্তি চাই’। সেই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
সরকার কী বলছে
চিন্ময় ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও তা নিয়ে ভারতের বিবৃতির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এনিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি রংপুরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, “গতকাল (সোমবার) একটি গ্রেপ্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে।
“স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কেউ যদি রাষ্ট্রদ্রোহের মতো ঘটনায় যুক্ত থাকে, সে যে–ই হোক, তাকে কোনও প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। এটা সম্প্রদায় বিবেচনায় নয়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
রাষ্ট্রদ্রোহের মতো ঘটনা ঘটলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, “বাংলাদেশের কোনো সম্প্রদায়কে শুধু সাম্প্রদায়িক পরিচয়ের কারণে বঞ্চিত বা নিগ্রহের শিকার যাতে হতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।”