Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

মোট রাজস্বে চট্টগ্রাম কাস্টমের জোগান ১৭%

SS-CTG-Customs--020724
Picture of বিশেষ প্রতিনিধি, সকাল সন্ধ্যা

বিশেষ প্রতিনিধি, সকাল সন্ধ্যা

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস এককভাবে রাজস্ব আদায়ে আগে থেকেই ছিল দেশের প্রথমস্থানে। এর ধারাবাহিকতা ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও তারা অক্ষুণ্ন রেখেছে। সদ্য বিদায়ী এই অর্থবছরে মোট রাজস্বের প্রায় ১৭ শতাংশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) জোগান দিয়েছে বন্দরনগীর কাস্টম হাউস।

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর, দেশের সবচেয়ে বড় ইপিজেড, জ্বালানি তেল আমদানি ও শোধনাগারসহ রাজস্ব আদায়ে অনেক বড় প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামে থাকায় সবচেয়ে বেশি রাজস্ব জোগান দিয়ে আসছে এই কাস্টম হাউস।   

বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে জোগান দেওয়ার জন্য এনবিআরকে প্রাথমিকভাবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। পরে তা সংশোধন করে ২০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। যদিও এনাবআর এই লক্ষ্য পূরণ থেকে অনেকটাই দূরে আছে। কতটা দূরে আছে তার তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি তারা।

বিদায়ী অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকার রাজস্ব সংস্থান করেছে এনবিআর।

রাজস্ব লক্ষ্য পূরণের সবচেয়ে বড় নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস বিদায়ী অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এককভাবে জোগান দিয়েছে সাড়ে ৬৮ হাজার কোটি টাকা। শতাংশের হিসাবে তা ১১ মাসের আদায় হওয়া মোট রাজস্বের ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। তবে মোট আদায়ের পরিমাণ জানতে পারলে এই অর্জন ১৮-১৯ শতাংশের ঘরে থাকবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম।

এই আদায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম, আবার আগের অর্থবছরের (২০২২-২৩) তুলনায় ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ৬১ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা।

আর চট্টগ্রাম কাস্টমের সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় করেছে ৬৮ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ হাজার কোটি টাকা কম।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ কমিশনার ও মুখপাত্র সাইদুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চট্টগ্রাম কাস্টম কত অর্জন করল, সেই হিসাব এখনও আমরা করিনি। তবে চট্টগ্রাম কাস্টমস সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলেও আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য ইতিবাচক।”

চলতি বছরের শুরু থেকে আমদানি বেড়ে যাওয়া, মিথ্যা ঘোষণার জন্য দ্বিগুণের বেশি জরিমানা আদায়, বিলাসী পণ্যে বাড়তি শুল্কহার অব্যাহত রাখা এবং অনিয়ম প্রতিরোধে নজরদারি বাড়ানোর কারণে এই রাজস্ব বেড়েছে বলে মনে করছেন সাইদুল ইসলাম।

কোন অর্থবছরে কত আদায়

২০২০-২১ অর্থবছরে এনবিআরের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। এতে চট্টগ্রাম কাস্টমের জোগান ছিল ৫১ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা। মোট রাজস্বে চট্টগ্রামের অবদান ১৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

২০২১-২২ অর্থবছরে এনবিআরের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ১ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। এর বিপরীতে চট্টগ্রাম কাস্টম জুগিয়েছে ৫৯ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। মোট রাজস্বে অবদান ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।

২০২২-২৩ অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। এতে চট্টগ্রাম কাস্টমের জোগান ছিল ৬১ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। মোট রাজস্বে অবদান চট্টগ্রামের ১৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৪০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এনবিআরের। এর বিপরীতে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। লক্ষ্য পূরণ করতে হলে অর্থবছরের শেষ মাস জুনেই ৮৫ হাজার ৬২২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে।

ফলে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মোট কত রাজস্ব আদায় হয়েছে, সেটি জানতে আগামী সপ্তাহ লেগে যাতে পারে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা। সেটি প্রকাশ হলে মোট রাজস্বে চট্টগ্রাম কাস্টমসের জোগানের হার ১৯ শতাংশ হতে পারে।  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত