সুখী পরিবারের উদাহরণ এটাই। গত চার ম্যাচে তিনবার আগে ব্যাট করে দলীয় দুইশো রান। একটিতে রান তাড়ায় ১৮০ করে ম্যাচ জয়। টানা চার জয়ে দলীয় সাফল্যের রেশ ছড়িয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছে চিটাগং কিংস।
বিপিএল সবসময়ই অঘটনের শীর্ষে থাকে। চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজিই এক মৌসুম আগে মেহেদী হাসান মিরাজ ইস্যুতে ছিল শিরোনামে। মালিকপক্ষের সঙ্গে মনোমালিন্যে টিম হোটেল ছেড়ে বের হয়ে আসেন মিরাজ।
সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক এবার নেই। নতুন মালিকপক্ষে চট্টগ্রাম এখন সুখী পরিবার। নিজেদের হোম ভেন্যুতে যাওয়ার আগেই সুরটা তৈরি করে নিয়েছে দলটি। ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচেই ভালো খেলার গীত গেয়ে সমর্থকদের আনন্দ দিয়েছে।
টানা চার জয়ে ম্যাচ সেরা হয়ে উঠেছেন দলের একেকজন। বৃহস্পতিবার দলকে জেতালেন গ্রাহাম ক্লার্ক। বিপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন। মাত্র ৫০ বলে ৬ ছক্কা ও ৭ চারে করেছেন ১০১ রান। তার বিধ্বংসী ইনিংসে বাকি ব্যাটাররা ভালো না করলেও জয়ের রান পেয়ে যায় চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের ৭ উইকেটে করা ২০০ রান তাড়া করে হারের ধারাবাহিকতায় থাকা খুলনা হতাশ করেছে। খুলনার ব্যাটাররা কেউই ভালো স্কোর করতে পারেননি। ডারউইস রাসুলী করেছেন সর্বোচ্চ ৩৭ রান। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৫ রান করে তারা।
প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর টানা চার হার হজম করা খুলনা চার নম্বরে নেমে এসেছে।