২৩ বলে অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস খেললেন জাকের আলী। যদিও তার লড়াই কাজে আসেনি সিলেট স্ট্রাইকার্সের। ব্যাট-বলে আলো ছড়িয়ে চিটাগং কিংস পেয়েছে টানা তৃতীয় জয়। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দিনের প্রথম খেলায় সিলেটকে ৩০ রানে হারিয়েছে চিটাগং।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গ্রাহাম ক্লার্ক ও উসমান খানের হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৩ রান করে চিটাগং। কঠিন এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জাকের যখন ঝড় তুললেন, ততক্ষণে সিলেটের হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত সিলেট ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ১৭৩ রান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চিটাগং দারুণ শুরু পায় উসমানের ব্যাটে। তবে অন্যপ্রান্তে সুবিধা করতে পারেননি পারভেজ হোসেন ইমন। লিটন দাসকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়স ট্রফির দলে জায়গা পাওয়ার পরের দিন মাঠে নেমে হতাশ করেছেন এই তরুণ ওপেনার। মাত্র ৭ রান করে বিদায় নেন তিনি।
তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে গ্রাহাম ক্লার্কের সঙ্গে রান বাড়িয়ে নেন উসমান। পাকিস্তানি ব্যাটার খেলেন ৫৩ রানের ইনিংস। ৩৫ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৮ চার ও ১ ছক্কায়। ক্লার্ক তাকেও ছাপিয়ে যান। ওয়ান ডাউনে নামা এই ব্যাটার ৩৩ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় খেলেন ৬০ রানের ইনিংস। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।
টপ অর্ডার রান পাওয়ার পরও চিটাগংয়ের সংগ্রহ ২০০ পেরোয় হায়দার আলীর তাণ্ডবে। পাকিস্তানি ব্যাটার ১৮ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৪২ রানের ইনিংস।
সিলেটের সবচেয়ে সফল বোলার তানজিম হাসান সাকিব। তিনি ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদুল ইসলাম, রুয়েল মিয়া ও আরিফুল হক।
২০৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার পল স্টারলিং (০) ও রনি তালুকদারকে (৭) হারায় সিলেট। ফর্মে থাকা জাকির হাসান করেন ২৫ রান। খানিক পর অ্যারন জোন্স (১৫) বিদায় নিলে ৬৪ রান তুলতে ৪ উইকেট হারায় সিলেট।
ওই অবস্থান থেকে ম্যাচ জেতা কঠিন হয়ে পড়ে সিলেটের। জিততেও পারেনি। জর্জ মানসি ৩৭ বলে ৫২ করার পর জাকের আলী চেষ্টা করেছেন। তার অপরাজিত ৪৭ রান সিলেটের হারের ব্যবধানই শুধু কমিয়েছে।
চিটাগংয়ের জয়ের পথে দুর্দান্ত বল করেছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। পাকিস্তানি পেসার ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন আলিস আল ইসলাম। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন গ্রাহাম ক্লার্ক।