Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় বেতন বাড়াল সিটি ব্যাংক

city bank
[publishpress_authors_box]

উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে কর্মীদের বেতন বাড়িয়েছে সিটি ব্যাংক। পদ অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা বেতন বাড়িয়েছে বেসরকারি ব্যাংকটি। এর ফলে ব্যাংকটির বার্ষিক ব্যয় বাড়ছে ৩০০ কোটি টাকা।

সিটি ব্যাংক সূত্রে আরও জানা গেছে, এই নতুন বেতন কাঠামো ১ নভেম্বর, ২০২৪ থেকে কার্যকর হচ্ছে। ব্যাংকের কর্মীরা নভেম্বর মাসের বকেয়াসহ ডিসেম্বর মাসে এ নতুন বেতন পাবেন।

ব্যাংকটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মধ্যে সিটি ব্যাংক তার কর্মীদের জীবনযাত্রা সহজ করতে বেতন পুনর্গঠনের এক যুগান্তকারী উদ্যোগ ঘোষণা করেছে।

ব্যাংকটি জানিয়েছে, সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২০২৪ সালের জন্য ১৬২ কোটি টাকার বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে, যার সঙ্গে আগামী বছরে প্রদেয় ইনক্রিমেন্ট ও বোনাস ইত্যাদি যোগ দিলে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ আজকের থেকে ব্যাংকটির বার্ষিক বেতন ব্যয় বাড়বে মোট ৩০০ কোটি টাকা। ফলে আগামী বছরেই এ ব্যাংকের মোট বেতন বার্ষিক ১ হাজার ২১০ কোটি টাকায় পৌঁছাবে।

সম্প্রতি সেরেব্রাস কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চালানো সমমানের ব্যাংকের এক জরিপের ফলের ভিত্তিতে সিটি ব্যাংক তাদের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর জন্য এই বেতন সমন্বয় করল।

বাজারের সঙ্গে বেতনের এই সামঞ্জস্য আনতে যেসব কর্মীর বর্তমান বেতন বাজারের মানের তুলনায় উল্লেখযোগ্যরকম কম ছিল, তাদের বেতন উচ্চ শতাংশে বাড়ানো হয়েছে। আর যাদের বেতন বাজার গড়ের কাছাকাছি তাদের তুলনামূলক কম বাড়ানো হয়েছে।

ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার থেকে নিয়ে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ, ভাইস প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত সব পদে বেতন বাড়ল ১০ থেকে ৫০ শতাংশ, যা গড়ে ২৩ শতাংশ। এই প্রকল্পের আওতায় সিটি ব্যাংকের সব কর্মীর অবস্থান নির্বিশেষে সর্বনিম্ন বেতন বেড়েছে ১০,০০০ টাকা; সর্বোচ্চ বেড়েছে ৬০,০০০ টাকা।

ব্যাংকের সাপোর্ট স্টাফ, আউটসোর্সড স্টাফ ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া স্টাফরাও এই বিশেষ বেতন বৃদ্ধি পাওয়া কর্মীদের তালিকায় আছেন।

সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার বলেন, “আমাদের কর্মীরা সিটি ব্যাংকের মেরুদণ্ড। বাজারের অবস্থার সাথে বেতন-ভাতা সমন্বয় করে আমরা আমাদের ব্যাংকটিকে দেশের সেরা কর্মক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য রাখি।”

সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, “ব্যাংকের মুনাফা অনেক বেড়েছে। আমি এমডি হওয়ার আগের ৬৯৯ কোটি টাকার পরিচালন মুনাফা এবার ২০০০ কোটি টাকার বেশ ওপরে চলে যাচ্ছে। তাই এটা এখন আমাদের কর্মীদের নৈতিক অধিকার যে, তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে আরও ভালো থাকবেন।”

দেশে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যে যে মূল্যস্ফীতি ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ ছিল, তা গত নভেম্বরে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির, যার বড় প্রভাবক ছিল আমিষ পণ্য, মসলা ও রান্নায় ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় পণ্য। পাশাপাশি চাল, গম ও সবজির দামে ঊর্ধ্বমুখিতারও ব্যাপক প্রভাব দেখা গেছে।

জিনিসপত্রের বাড়ন্ত দাম খেয়ে ফেলছে বাড়তি আয়ের টাকা। দেশে মূল্যস্ফীতি যে হারে বাড়ছে, মজুরি বাড়ছে তার তুলনায় অনেক কম হারে। এভাবেই মূল্যস্ফীতির বাড়তি চাপ মানুষের খরচ করার সামর্থ্য কমাচ্ছে। অর্থাৎ বাড়তি মজুরি পেয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না।

এমন প্রেক্ষাপটে সব কর্মীর বেতন বাড়াল সিটি ব্যাংক।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত