ঢাকার উত্তরায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নিহতের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। আর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে মাইলস্টোন কলেজের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ।
তাদের এই কর্মসূচি সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ারের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
দুই জায়গাতেই শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্যদের মুখোমুখি অবস্থানে দেখা যায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সেখানে দায়িত্বে থাকা উত্তরা পশ্চিম থানার একজন পুলিশ সদস্য সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেন কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, বিকাল সোয়া ৪টার পর আওয়ামী লীগ সমর্থকরা মাইলস্টোন কলেজের দিকে থাকা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় পুলিশও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় এবং সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছোড়ে করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
সংঘর্ষে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর রোডে অবস্থিত ভুবন লন্ড্রি হাউজের মালিক দুলাল হাওলাদারের মাথায় ইট লাগে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরা ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের মাঝে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থী তাহমিদ হুজাইফা।
হুজাইফার বন্ধু সাদমান ওয়াসিফ সকাল সন্ধ্যাকে জানান, তার চোখে গুলি লেগেছে।