বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে সাফে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। বয়সভিত্তিক ও জাতীয় দলে অনেক সাফল্য এসেছিল গোলাম রব্বানী ছোটনের হাত ধরে। সেই কোচ হুট করে বাফুফের চাকরি ছেড়েছিলেন গত বছর মে মাসে। মাঝে কিছুদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নারী দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। তবে আবারও তাকে ফিরিয়ে এনেছে বাফুফে।
তবে এবার আর নারী দলের দায়িত্বে নয়। আগামী এক বছরের জন্য বাফুফের এলিট ফুটবল একাডেমি এবং ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
বাফুফেতে আবারও ফিরতে পেরে খুশি ছোটন। এবার তিনি নজর দিতে চান একাডেমির ফুটবলারদের দিকে, “এখানে নতুন ভাবে এসেছি। নতুন করে কাজ করব। সামনে যে দায়িত্ব পেয়েছি সেটাতে উন্নতি করার অনেক সুযোগ আছে। অবশ্যই এখানে কাজকেই প্রাধান্য দেব। এখান থেকে ভালো ফুটবলার তৈরি করতে চাই যাতে জাতীয় দলও শক্তিশালী হয়।”
গত বছর বাফুফের সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন টেকনিকাল ডিরেক্টর পল স্মলির কাজের ফিরিস্তি গাইতে গিয়ে সরাসরি অস্বীকার করেন ছোটনের অবদান। নিজেদের মধ্যে আলোচনায় প্রায়ই সালাউদ্দিন বলে থাকেন, মেয়েদের ফুটবলে ছোটনের তেমন কোনও অবদান নেই। সবকিছুই নাকি করেছেন পল স্মলি। পল চলে গেলে নাকি ৯ মাসেই ভেঙে পড়বে মেয়েদের ফুটবলের অবকাঠামো। এরপরও নিভৃতচারী ছোটন প্রকাশ্যে বঞ্চনার কথা স্বীকার না করলেও মে মাসে জানিয়ে দেন নিজের প্রিয় কাজটি ছেড়ে দেওয়ার কথা।
বাফুফের নতুন কমিটি সেই ছোটনকেই মনে করেছে গুরুত্বপূর্ণদের একজন। যে কারণে তাকে ফিরিয়ে আনা হলো।