মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে ৮ দিন বন্ধ থাকার পর সেখান থেকে কক্সবাজারের টেকনাফে এসেছে হিমায়িত মাছ ভর্তি ট্রলার।
শনিবার রাত একটার দিকে ১১৪ মেট্রিক টন হিমায়িত মাছ ভর্তি ট্রলার কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায় বলে জানান টেকনাফ উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন।
বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর আরাকান আর্মি দখলে নেওয়ার পর এই প্রথম সেখান থেকে মাছ এল এপারে।
স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেড টেকনাফের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “আট দিন পর ১১৪ টন হিমায়িত মাছ নিয়ে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দর থেকে একটি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে। ট্রলারটিতে টেকনাফের চারজন ব্যবসায়ীর মাছ রয়েছে।”
সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন আরও বলেন, রাজস্ব আদায়ের পর মাছগুলো ঢাকা-চট্টগ্রামে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
গত ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর শতভাগ নিয়ন্ত্রণে নেয় জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি(এএ)। এরপর নাফ নদীতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে এএ। এরপরই বাংলাদেশও নৌ যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে বন্ধ হয়ে পড়ে দুই দেশের পণ্য লেনদেন।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে সাধারণত হিমায়িত মাছ, শুকনো সুপারি, বিভিন্ন ধরনের কাঠ, আদা, শুঁটকি, পেঁয়াজ, নারকেল, আচার ইত্যাদি পণ্য আমদানি হয়। আর বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে যায় তৈরি পোশাক, আলু, প্লাস্টিক পণ্য, সিমেন্ট, বিস্কুট, চানাচুর, চিপস ও কোমলপানীয়।
এএ মংডুর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মিয়ানমার থেকে পণ্যবাহী কোনও কার্গো ট্রলার ও জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরে আসেনি, এমনকি মালামাল খালাস করা কার্গো ট্রলার ও জাহাজ মিয়ানমারের ফেরত যেতে পারেনি। মিয়ানমার থেকে পণ্য নিয়ে আসা তিনটি ট্রলার ও জাহাজ এখনও স্থলবন্দরে নাফ নদীতে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।