দেশের ইতিহাসে সোনার দাম এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে; বিশ্ব বাজারেও এই ধাতুর দাম বাড়তি। বেড়েছে রুপার দামও।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রিত প্রতিটি স্মারক স্বর্ণ মুদ্রার দর আরও ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রৌপ্যমুদ্রার দাম আরও এক হাজার টাকা বাড়িয়ে সাত হাজার টাকা করা হয়েছে।
এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ১৪ অক্টোবর ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তার আগে ১ সেপ্টেম্বর প্রতিটি মুদ্রায় ১০ হাজার এবং ১৬ জুলাই ৫ হাজার টাকা করে বাড়ানো হয়।
আন্তর্জাতিক ও দেশের বাজারে সোনার দর বৃদ্ধির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্মারক স্বর্ণ মুদ্রার দর এক লাখ টাকা ছাড়ায় ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর। ওই বছর ৬ দফায় ২৫ হাজার টাকা বেড়েছিল এই মুদ্রার দাম।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে স্মারক রৌপ্য মুদ্রার দাম এক হাজার টাকা বাড়িয়ে ছয় হাজার টাকা করা হয়, যা আগে ছিল পাঁচ হাজার টাকা। স্মারক রৌপ্য মুদ্রার দাম আরও এক হাজার টাকা বাড়িয়ে সাত হাজার টাকা করা হয়েছে।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মুদ্রিত স্মারক স্বর্ণ মুদ্রা (বাক্সসহ) প্রতিটির বিক্রয়মূল্য ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা এবং স্মারক রৌপ্য মুদ্রা (বাক্সসহ) প্রতিটির বিক্রয়মূল্য ৭ হাজার টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে স্মারক স্বর্ণ মুদ্রা ও স্মারক রৌপ্য মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার থেকে এই দর কার্যকর হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বর্তমানে তিন ধরনের স্মারক স্বর্ণ মুদ্রা রয়েছে। প্রতিটি মুদ্রা ২২ ক্যারেট মানের ১০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ দিয়ে তৈরি। এসব মুদ্রা হলো- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০০০, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ১৯২০-২০২০ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ১৯৭১-২০২১।
সাধারণভাবে স্মারক মুদ্রা শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল ও অন্যান্য শাখা অফিসে পাওয়া যায়। মিরপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা যাদুঘরেও বিক্রি করা হয়।
স্মারক স্বর্ণ মুদ্রা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রৌপ্য স্মারক ও কাগুজে স্মারক নোট রয়েছে। বিশেষ দিন বা স্থাপনাকে স্মরণীয় করে রাখতে বিভিন্ন নোট ছাড়া হয়।
বর্তমানে ১২ ধরনের স্মারক রৌপ্য মুদ্রা আছে।
এগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী, বাংলাদেশ ব্যাংক রজত জয়ন্তী, বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন, বাংলাদেশের ৪০তম বিজয় বার্ষিকী, বিদ্রোহী কবিতার ৯০ বছর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী, আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শতবর্ষ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবর্ষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি ও জাতির গৌরবের প্রতীক পদ্মা সেতু।
অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনা ১১.৬৬৪ গ্রাম) এখন ৪৯ হাজার ৮১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে কখনই সোনার দাম এত উচ্চতায় উঠেনি।
সবশেষ গত ১১ ফেব্রুয়ারি এই মাসের সোনার দাম ভরিতে দুই হাজার টাকা বাড়ানো হয়। এ নিয়ে টানা ছয় দফায় প্রতিভরি সোনার দাম বেড়েছে ১১ হাজার ৫২৬ টাকা।
