Beta
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫

জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলা

গ্রেপ্তারের পর আদালতে জিয়াউল আহসান। ফাইল ছবি
গ্রেপ্তারের পর আদালতে জিয়াউল আহসান। ফাইল ছবি
[publishpress_authors_box]

আওয়ামী লীগ আমলে আলোচিত-সমালোচিত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে গুম-খুনের পর এবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করার পাশাপাশি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধেও আরেকটি মামলা করেছে একই অভিযোগে।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা দুটি করা হয় বলে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচার ছাড়াও প্রায় ৩৪২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া মেজর জেনারেল জিয়ার নামে তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২২ কোটি ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ১৪২ টাকার সম্পদ অর্জন করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, জিয়া গাইডলাইন অব ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রান্সজেকশন-২০১৮ ও ২০২০ সালের এফইপিডি সার্কুলার-৬ অনুযায়ী বর্তমান অনুমোদিত সীমা লঙ্ঘন করে নিজ হিসাবে ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার জমা করেন। বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করে স্ত্রী নুসরাত জাহানের সহযোগিতা ও যোগসাজশে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করেন।

দুদক পরিচালক আক্তার বলেন, “জিয়াউল আহসানের নামে ৮টি সক্রিয় ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১২০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। একজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে এই কাজে নিজের পদ ও অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, দণ্ডবিধি, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।”

জিয়ার স্ত্রী নুসরাত জাহানের আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৮ কোটি ৫৯ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৮ টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। স্ত্রীকে সহযোগিতা করায় জিয়াকেও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, নুসরাত তার নামে থাকা ৪টি সক্রিয় ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২২২ কোটি ৫০ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেন এবং স্বামী জিয়ার সহযোগিতা ও পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করেন।

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার এক সময়ের পরিচালক জিয়া আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ছিলেন বেশ প্রভাবশালী। সর্বশেষ তিনি মেজর জেনারেল হিসাবে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছিলেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরেই সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হন জিয়া। তার দুদিন পর বিদেশ যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।

অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের মামলায় জিয়াকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ। আদালতে তাকে গুমের জন্য দায়ী করা হয়, বলা হয় আয়নাঘর তৈরির ‘হোতা’। তবে জিয়া এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত