ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বলে অভিযোগ ওঠায় ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের ছয়টি বাড়ি এবং পূর্বাচলের আটটি প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সেই সঙ্গে ৫৫ কোম্পানিতে থাকা তার ৫৬ কোটি ৬ লাখ ৫৮ হাজার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশও দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনে বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনকালের পুরোটা সময় ব্যাংক বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন নজরুল মজুমদার। বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের মালিক নজরুল নাসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী, এমপিসহ অন্য অনেক আওয়ামী লীগ নেতার পাশাপাশি নজরুলও গ্রেপ্তার হন। অভ্যুত্থানের সময়কার হত্যামামলার আসামি হয়ে তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।
এর মধ্যে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদক নজরুলের বিরুদ্ধে তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন এবং তদন্তও তিনিই করছেন।
তিনি আদালতে নজরুল মজুমদারের সম্পদ জব্দ এবং শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করলে বৃহস্পতিবার তাতে সাড়া দেন বিচারক।
এই সম্পদের মধ্যে রয়েছে- গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার গুলশান দক্ষিণ বাণিজ্যিক ৪৭ নং প্লট এবং সেখানে থাকা ১৪ তলা ভবন, যার বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকা। গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার এসই (ডি) ব্লকের ৩ নং প্লট এবং সেখানে থাকা ১৪ তলা ভবন, যার বাজার মূল্য ৭০ কোটি টাকা। মহাখালীতে ৪ কোটি টাকা মূল্যের দোতলা বাড়ি, একই এলাকায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের চার তলা বাড়ি, মহাখালীতে আরেকটি ৪ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি, তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের তিন তলা ভবন।
এই সম্পদ জব্দের আবেদনে দুদক কর্মকর্তা বলেন, “তদন্তকালে বিভিন্ন সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায়, আসামি তার নামীয় স্থাবর, অস্থাবর সম্পদসমূহ বিক্রি, স্থানান্তর করার চেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে আসামি কর্তৃক অর্জিত অবৈধ সম্পত্তিসমূহ হস্তান্তর, স্থানান্তর, রূপান্তর/বিক্রি হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে।।”