কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল এখন ফেইসবুকে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একই উপজেলার ডুলহাজারা রিংভং রাহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাহবুবুল আলম সিদ্দিকীর কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছেন তিনি।
ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন মাহবুবুল। তবে এবিষয়ে নজরুলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, “এদিকে অনেকের আনাগোনা আছে। চুপ থাকেন, কথা কম বলেন, কাজ হয়ে যাবে।”
এসময় মাদ্রাসার সুপার মাহাবুবুল আলম সিদ্দিকী বলেন, “স্যার এগুলো রাখেন, এখানে এক আছে।” এরপর তিনি আবার বলেন, “স্যার, তাহলে বাকি কথা মোবাইলে হবে।”
গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে এই ঘুষ লেনদেন হয় বলে স্বীকার করে মাহাবুবুল।
ভিডিওর বিষয়ে তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “সেদিন আমি ছাড়াও আরও অনেকে ছিলেন। কে ভিডিওটি করেছে, আমি জানি না।”
ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও কেন দিয়েছিলেন, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি মাহবুবুল।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুলের মোবাইল ফোনে অনেকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এসএমএস পাঠালেও সাড়া দেননি তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন আহমদ বলেন, “ঘুষ গ্রহণকারী এবং ঘুষদাতা উভয়েই সমান অপরাধী। এব্যাপারে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে চকরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”