Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ চায় সিপিডি

সিপিডি
বুধবার ঢাকার মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘বাংলাদেশে জ্বালানি পরিবর্তনের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ : একটি নাগরিক ইশতেহার’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করেছিল সিপিডি
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

২০২৫ সালের মধ্যে কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের প্রস্তাব করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একই সঙ্গে জ্বালানি রূপান্তরে সরকারকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া এবং বিদ্যুৎ খাতের দায়মুক্তি আইন বাতিলেরও প্রস্তাব দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

বুধবার ঢাকার মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

‘বাংলাদেশে জ্বালানি পরিবর্তনের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ : একটি নাগরিক ইশতেহার’ শীর্ষক এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিনি।

জ্বালানির রূপান্তরে রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি, নির্বাচনী ও নাগরিক সমাজের ইশতেহার শীর্ষক এই প্রবন্ধে ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “নির্বাচনে জ্বালানির গুরুত্ব আগেও ছিল, আগামীতেও থাকবে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনের ইশতেহার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দলগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন, জ্বালানি আমাদানিতে মনোযোগী। তবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে তাদের মনোযোগ কম।

“২০২৫ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা তৈরি এবং স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি রূপান্তর পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।”

সিপিডির প্রস্তাবিত স্বল্পমেয়াদি বা আগামী জুনের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে-জ্বালানির চাহিদা পূর্বাভাস সংশোধন, স্থানীয় মুদ্রায় মূল্য পরিশোধ, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, সৌর বিদ্যুৎ সামগ্রীতে শুল্ক কমানো, বায়োগ্যাস ব্যবহার করা ইত্যাদি।

মধ্যমেয়াদি বা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে এমন প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে কুইক রেন্টাল ও বিদ্যমান অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র যেগুলো ‘ফেজ আউট’ তালিকায় নেই, সেগুলো দেরি না করে বন্ধ করা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে অন্তর্ভুক্ত করা, অভিন্ন লক্ষ্যমাত্রাসহ সমন্বিত জ্বালানিনীতি গ্রহণ, প্রকৌশলীদের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ে জাতীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা এবং পাওয়ার প্ল্যান্ট ইনডিমিনিটি অ্যাক্ট বা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দায়মুক্তি আইন বাতিল।

এছাড়া জ্বালানির জন্য আলাদা সেল গঠন, সাসটেইনেবল রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভলপমেন্ট অথরিটি (স্রেডা) ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) শক্তিশালী করাসহ একাধিক দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি।

সেমিনারে নিজের বক্তব্যে সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, “সরকারের লক্ষ্য হলো চাহিদা অনুযায়ী দেশের মানুষকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ নিশ্চিত করা। নীতি পরিবর্তন কিংবা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার করলেই সমস্যা থাকবে না-এমনটি ভাবার সুযোগ নেই। চাইলে সব বদলে দেওয়া যাবে সেটিও নয়।”

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় ঝুঁকি ও সম্ভাবনা বিবেচনার ওপর জোর দেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম।

অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, “দেশে নতুন গ্যাস পাওয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জ্বালানি অনুসন্ধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।”

যেহেতু দেশের প্রতিটি খাতের কার্যক্ষমতা বিদ্যুৎ খাতের ওপর নির্ভর করে। তাই বিদ্যুৎ খাতকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত