দর্শকপ্রিয়তার বিড়ম্বনার মুখোমুখি হলো দেশের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁয়ে রাণীশংকৈল উপজেলায় আয়োজিত ইত্যাদির শুটিংয়ে এ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় হানিফ সংকেতসহ আয়োজক ও অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণকারী তারকাদের।
৩ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটির রেকর্ডিং করার প্রস্তুতি থাকলেও লক্ষাধিক মানুষের অযাচিত উপস্থিতিতে পণ্ড হতে বসেছিল পুরো আয়োজনটি। চেয়ার ছোড়োছুড়িসহ হালকা সংঘর্ষও হয় সেখানে।
তবে, পুরো পরিস্থিতি সামাল দিয়ে অনুষ্ঠান রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে বলে সকাল সন্ধ্যাকে নিশ্চিত করেছেন ইত্যাদির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফাগুন অডিও ভিশনের গণসংযোগ কর্মকর্তা গাজী কিবরিয়া মিঠু।
দেশের প্রতিটি জেলার ঐতিহাসিক স্থানে ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন করছে ইত্যাদি। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাণীশংকৈল জমিদার বাড়িতে সেট ফেলা হয়েছিল শুটিংয়ের। যেহেতু দর্শকদের সরাসরি অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয় তাই এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না।
সকাল সন্ধ্যাকে গাজী কিবরিয়া মিঠু বলেন, “আমরা যেখানেই যাই, সেখানে আগে থেকে কোনও ধরনের ঘোষণা থাকে না। একটু নীরবেই শুটিংয়ের কাজটা করি। কয়েক হাজার মানুষকে কিছুটা গোপনীয়তার শর্তেই পাস দেওয়া হয়। কখনও এবারের মতো পরিস্থিতি হয়নি।
“তিন হাজার মানুষের প্রস্তুতি ও পাস দেওয়া ছিল। প্রশাসনের অনুমতি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সহযোগিতাও ছিল। কিন্তু প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল।”
ইত্যাদির প্রতি ভক্তদের ভালোবাসার জেরেই এমনটি হয়েছে বলে জানান তিনি।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতেও যখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছিল না তখন অনুষ্ঠান ‘স্থগিত করার ঘোষণা দিতে বাধ্য হন’ হানিফ সংকেত। তবে, বরাবরের মতোই এটি ছিল তার বুদ্ধিমত্তার বহিঃপ্রকাশ।
রাত ৮টায় হানিফ সংকেত মাইকে ঘোষণা করেন, “অনেক চেষ্টা করেও আপনাদের শান্ত করতে পারলাম না। আপনাদের জন্য একটি সুন্দর আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। তবে সেটা আর সম্ভব হলো না।”
এ ঘোষণায় ফিরে যেতে থাকেন দর্শকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে রাত ১১টায় পুনরায় শুরু হয় শুটিং।
মিঠু বলেন, “অনুষ্ঠান সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত না নিলে শুটিংটি করা সম্ভব হতো না। তবে, সবকিছুর পরেও আমরা শুটিং শেষ করে ফিরতে পেরেছি। রাত ১টার দিকে শুটিং শেষ হয়।”
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ইত্যাদির এ পর্ব প্রচারিত হওয়ার কথা।