সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল শাখার সাবেক সভাপতি বেনজির হোসেন নিশিকে ফের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে আদালতের দেওয়া পাঁচ দিনের রিমান্ড আদেশ শুনে পুলিশি পাহারায় হাজতখানায় যাওয়ার সময় নিশি বলেন, “আগুনের দিন একদিন শেষ হবে।”
এরপর ছাত্রলীগের সাবেক এই নেত্রীকে হাসতে দেখা যায়।
বেনজির হোসেন নিশি ছাড়াও এদিন একই মামলায় কাউসার ও রমজান নামে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের আরও দুই সাবেক নেতার প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেয় আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক তারেক মোহাম্মদ মাসুম এই তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত প্রত্যেকের ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর পান্থপথে আল বারাকা রেস্টুরেন্টের সামনে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জন আসামি একত্রে সমবেত হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ব্যানার ব্যবহার করে জনসম্মুখে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে এবং ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য মিছিল বের করে।
সেসময় আসামিরা বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক স্লোগান দেয়। তারা তাদের এই কর্মসূচি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচারও করে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার লক্ষ্যে এমন পরিকল্পনা করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ওই দিনই বেনজির হোসেন নিশিসহ সাবেক তিন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করা আরেক মামলায় গত ১৩ জানুয়ারি সাতক্ষীরা থেকে বেনজির হোসেন নিশিকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলাটি গত ২৮ অক্টোবর করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী আরমান হোসাইন। মামলায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে এক নম্বর আসামি করা হয়। নিশি ২১০ নম্বর আসামি।
ওই মামলায় দুদিন রিমান্ডে ছিলেন নিশি।