Beta
শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

উল্টো ঢাকাকেই দুষছে দিল্লি

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
[publishpress_authors_box]

দিল্লিতে থেকে শেখ হাসিনার কথা-বার্তা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার; তলব করা হয়েছিল ঢাকায় ভারতের উপ রাষ্ট্রদূতকে।

তার পাল্টায় দিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনারকেও তলব করল ভারত সরকার। সেই সঙ্গে বলল, বাংলাদেশ সরকারের বিবৃতিগুলো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্ব েছড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দিল্লিতে থেকে বিভিন্ন বক্তব্য-বিবৃতি দেওয়ায় তা বন্ধ করতে এর আগেও ভারত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার।

গত বুধবার শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভাষণ দেওয়ার পর তার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ভবন, সুধা সদনসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাংচুর শুরু হয়।

ঢাকার পক্ষ থেকে তখন অভিযোগ তোলা হয়, শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যই এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে আর তাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে ভারত সরকার।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনারকে তলব করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। তাকে বলা হয়, শেখ হাসিনার মুখ বন্ধ রাখতে যেন তারা পদক্ষেপ নেন।

এর পাল্টা পদক্ষেপে শুক্রবার দিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার নুরুল ইসলামের ডাক পড়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

এরপর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন, শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার সঙ্গে তার সরকারের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওই বক্তব্য দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক যে, বাংলাদেশ সরকারের নিয়মিত বিবৃতিগুলোতে ভারতকে ক্রমাগত নেতিবাচকভাবে চিত্রায়িত করা হচ্ছে।

“অভ্যন্তরীণ সুশাসন প্রশ্নে তারা আমাদের দোষারোপ করে যাচ্ছে। বাস্তবিক অর্থে বাংলাদেশের এসব বিবৃতিই বিরাজমান নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্য দায়ী।”

প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ইতিবাচক, গঠনমূলক ও পরস্পরের জন্য মঙ্গলজনক সম্পর্ক চায় জানিয়ে জয়সওয়াল বলেন, সাম্প্রতিক বিভিন্ন বৈঠকেও তা তুলে ধরা হয়েছে।

এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও আলোচনায় উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্ত্রি। মোদী আগামী ১২-১৩ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন।

শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে গত ডিসেম্বরে ভারত সরকারকে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। তবে দিল্লি তার কোনও জবাব এখনও দেয়নি।

এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ভবনে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত