ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে সারাদেশে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন আরও বেগবান করতে হবে। আমরা এই আন্দোলনকে একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। সেই লক্ষ্যে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ২৯ জুন বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে সমাবেশ হবে। এছাড়া ১ জুলাই সারাদেশের মহানগরে এবং ৩ জুলাই সারাদেশের জেলা শহরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।”
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হৃদযন্ত্রের জটিলতা ছাড়াও ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, ফুসফুস, লিভার, কিডনি সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে ঢাকার গুলশানে বাসায় ছিলেন। সেখানে অসুস্থতা বাড়লে শুক্রবার রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। রবিবার তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়।
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবি পুনর্বার জানিয়ে ফখরুল বলেন, “আজকে দেশনেত্রী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আপনারা জানেন, কিছু দিন পরপরই তাকে হাসপাতালে আসতে হয়। এবার যে তিনি এসেছিলেন আল্লাহর অশেষ রহমতে যে তাকে আমরা ফিরে পেয়েছি। তার ফিরে আসার সম্ভাবনা খুব কঠিন ছিল, যদি ঠিক সময়ের মধ্যে ডাক্তার চিকিৎসা দিতে না পারতেন।
“এই অবস্থার মধ্যে আমাদের চিকিৎসকরা বার বার বলেছেন, তাকে বাইরে উন্নত কেন্দ্রে নেওয়া উচিৎ। কিন্তু সরকার তাকে যেতে দিচ্ছে না। তারা পরিকল্পিতভাবে আদালতকে ব্যবহার করে সেটা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। এজন্য বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলন জোরদার করার।”
খালেদা জিয়ার মুক্তির পথ সরকারই আটকে রেখেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতাদের এই ধরনের সাজা হওয়ার পরে তাদের প্রত্যেকটা মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে… তাদের মধ্যে কেউ মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন, এমপি নমিনেশন পেয়েছেন।”
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির এই আন্দোলনের সারাদেশের জনগণের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা আশা করি, দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের সাথে আপামর জনসাধারণ একাত্ম হবেন। আমাদের বিশ্বাস আমাদের সাথে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছেন, আপনারা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছেন তারা অনেকে বিবৃতি দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তার মুক্তির কথা বলেছেন।”