Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

হারিয়ে যাওয়া সাব্বিরের বিধ্বংসী রূপে ফেরা

sabbir
[publishpress_authors_box]

সাব্বির রহমান একেবারে হারিয়ে যাননি বটে, মনে রাখার মতো কিছু করতেও পারেননি। ঘরোয়া ক্রিকেটেই দল পাচ্ছিলেন না। ভাগ্য সুপ্রসন্ন সাব্বিরের, খালেদ মাহমুদ সুজন তাকে টেনে নেন ঢাকা ক্যাপিটালসে। প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে করেছিলেন মাত্র ২ রান, দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে দিলেন আস্থার প্রতিদান।

মাত্র ৩৩ বলে ৯ ছক্কা ও ৩ চারের বিধ্বংসী ইনিংসে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ভালো সংগ্রহ এনে দিয়েছেন সাব্বির। তার ব্যাটে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান তুলেছে ঢাকা। এই আসরে টানা চার ম্যাচ হারা দলটির সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

বিপিএল দিয়েই নামডাক ছড়িয়ে ছিল তার। ২০১২ সালে বরিশাল বুলসের হয়ে খেলেছিলেন ৮০ রানের টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। এত বছর পর নিজের ঝলক দেখানোর মঞ্চ হিসেবে বিপিএলকেই বেছে নিলেন।

অমিত সম্ভাবনার এই ব্যাটার নিজের ভুলে প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছিলেন। সবশেষ জাতীয় লিগ, জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতেও তাকে দলে রাখেননি নির্বাচকরা। পারফরম্যান্সের অভাবেই সাব্বিরের এই দুর্ভাগ্য। সেই পারফরম্যান্স দিয়েই আবার আলোচনায় এলেন এই ব্যাটার।

সাব্বিরের ৯টি ছক্কার সবকটিই ছিল পাওয়ার হিটিংয়ের পরিষ্কার উদাহরণ। এই মারতে পারার সামর্থ্যের জন্যই জাতীয় দলে সুনাম ছিল সাব্বিরের। বৃহস্পতিবার সেই রকম একটি ইনিংস উপহার দিলেন। বেশিরভাগ ছক্কাই মেরেছেন স্ট্রেইটে। কাভারের ওপর দিয়েও কিছু ছক্কা ছিল।

৪৮ বলে ৫৪ রান করা তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েছেন ৬ ওভারে। থিসারা পেরেরা ১ রানে ফেরার পর ফরমানউল্লাহকে (৯ বলে ১০) নিয়ে যোগ করেছেন আরও ৩০ রান। শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ার সেরা ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন সাব্বির।  

রান তাড়ায় নেমে ৩ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতেছে চিটাগং কিংস। ৭ উইকেটে জিতেছে তারা। সব মিলিয়ে ৫ ম্যাচের পাঁচটিতেই হারল ঢাকা। চিটাগংয়ের উসমান খান ৩৩ বলে ৫৫, গ্রাহাম ক্লার্ক ৩২ বলে ৩৯ করেন। মোহাম্মদ মিঠুন ২২ বলে ৩৩ ও শামীম হোসেন ১৪ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত