ঢাকার শাহজাহানপুরে ইসমাইল হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় দুই সহপাঠীসহ ছয়জনকে একদিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ (শিশু আদালত) শামসুল ইসলামের আদালত এই অনুমতি দিয়েছে।
নিহত ইসমাইলের বয়স হয়েছিল ১৭ বছর। তার দুই সহপাঠী হলো- শামস তাবরীজ শাফি ও মেজবাউন নবী তম্ময়। মামলার অপর চার আসামি হলো- আল-মাহমুদ সিয়াম ওরফে প্রান্ত, মৃদুল ওরফে ফ্লেজান, হাসান ও হোসেন। তারা সবাই কিশোর।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন।
তিনি জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চয়ে তাদের জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে বিচারক একদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলায় বলা হয়, ঢাকার রাজারবাগ স্কুলে পড়ার সময় শামস তাবরীজ শাফি ও মেজবাউন নবী তন্ময়ের সঙ্গে ইসমাইল হোসেনের বিরোধ ও ঝগড়া হয়। এর জের ধরে গত ১৮ নভেম্বর বিকাল ৩টার দিকে শান্তিবাগ ৪০ নম্বর ভবনের সামনে ইসমাইলের ওপরে হামলা করে তারা।
এরপর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের কয়েকজনকে ধরে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। ইসমাইলকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মারা যান ইসমাইল।
এ ঘটনায় তার বাবা মো. বেলায়েত হোসেন শাহজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।