সবশেষ এ বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে টেস্ট দলে ছিলেন শাহাদাত হোসেন দিপু। অলরাউন্ডার হিসেবে দারুণ, তার চেয়েও বড় কথা ব্যাট হাতে মিডলঅর্ডারে ভালো রান করতে পারেন। তাই মাত্র ২২ বছর বয়সেই টেস্ট অভিষেক হয় গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র ৪ টেস্টের পথচলা খুব উজ্জ্বল হয়নি দিপুর। তবে নিজেকে প্রমাণের মতো সুযোগও তো পাননি। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মার্চের ওই সিরিজের পর জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ইনজুরি দিপুর কপাল খুলে দিতে পারে।
কুঁচকির ইনজুরিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে খেলতে পারেননি শান্ত। পুনর্বাসনে দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগবে বলে শান্তর খেলা হবে না উইন্ডিজ সফরের টেস্ট সিরিজে। ওই সিরিজের জন্য টেস্ট দল ঘোষণার পর ইনজুরিতে পড়েন শান্ত।
এর আগে ইনজুরির কারণে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। একসঙ্গে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে না পাওয়ায় টেস্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফরম্যাটে দল সাজাতে একটু সমস্যায় পড়তে হয়েছে নির্বাচকদের।
মুশফিকুর রহিমের জায়গায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্টে লিটন দাসের বদলে সুযোগ পাওয়া মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে রাখা হয়েছে। লিটন দাসও দলে ফেরায় উইকেটকিপার ব্যাটারের অভাব আপাতত নেই। কিন্তু শান্ত নতুন করে নির্বাচকদের কপালে ভাজ ফেলেছে।
সম্প্রতি টেস্ট দলের আশেপাশে আছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে শান্তর জায়গায় দলে সুযোগ পাওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে দিপু। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২৩ সালে সাকিব আল হাসানের জায়গায় খেলানো হয়েছিল তাকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাকিব দলে থাকায় মিডলঅর্ডার থেকে দিপুর জায়গা হয় লোয়ার মিডল অর্ডারে।
উইন্ডিজ সিরিজে মুশফিক-শান্ত না থাকায় টপঅর্ডারের পরের জায়গাটাতে একজন ব্যাটার চাই। দিপু টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার দু’জায়গাতেই খেলতে পারেন বলে প্রতিযোগীতায় এগিয়ে আছেন।
অবশ্য প্রতিযোগীতায় প্রতিদ্বন্দ্বীও নেই তেমন। জাতীয় লিগে তাকালে সবশেষ রাউন্ডে মিডলঅর্ডারে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন সিলেটের অমিত হাসান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অনেকটাই দূরে এই ব্যাটার। একই রাউন্ডে চট্টগ্রামের হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন দিপু। চারে নেমে তার ওই ইনিংস টেস্ট দলে ফেরার জোড় দাবি রাখবে।