ঢাকার মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল ও সড়কের জায়গা দখল করেছিল আলোচিত পশুর খামার সাদিক অ্যাগ্রো। বৃহস্পতিবার খামারটির অবৈধ অংশ উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
এই খামারেই ছিল কোরবানির ঈদের আগে আলোচনায় আসা ‘উচ্চ বংশীয়’ ছাগলটি। ৬২ ইঞ্চি উচ্চতা, ১৭৫ কেজি ওজনের ছাগল সচরাচর দেখা যায় না। সাদিক এগ্রো ছাগলটির দাম হাঁকে ১৫ লাখ টাকা। এত দামের পেছনে ব্যাখ্যা ছিল উন্নত জাত ও বংশ মর্যাদা।
সেই ছাগল কিনতে গিয়ে ভাইরাল হন তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাত। সেই ছাগলের রশি ধরে টান পড়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের, যখন জানা যায় এই তরুণ তারই ছেলে। ছেলের ছাগলকাণ্ডের পর সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এনবিআরের পদ হারিয়েছেন মতিউর। তার সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
ছাগলের পাশাপাশি সাদিক এগ্রোর গরুর উচ্চ দাম নিয়েও কথা ওঠে, সমালোচনা ওঠে এর মালিক ইমরান হোসেনকে নিয়েও। তারমধ্যেই খামারটিতে অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয় ডিএনসিসি।
বৃহস্পতিবারের অভিযানের খবরে একটি শেড থেকে আগেই গরু সরিয়ে নিয়েছিল সাদিক এগ্রো। অভিযান শুরুর পর খামার থেকে সব ছাগল সরিয়ে পাশের একটি মাঠে নেওয়া হয়। তবে সেই মাঠে আলোচিত ছাগলটি দেখা যায়নি।
তবে ছাগলকাণ্ডের সঙ্গে এই উচ্ছেদ অভিযানের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, এ অভিযান কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়; অভিযান খাল দখলমুক্ত করার জন্য। আইন অনুযায়ী খাল থেকে ৩০ ফুট দূরে থাকতে হবে স্থাপনা।
তবে শুধু সাদিক এগ্রো নয়, আরও অনেক স্থাপনাই গড়ে উঠেছে রামচন্দ্রপুর খাল দখল করে। এসব স্থাপনার মধ্যে বেশ কয়েকটি আবাসিক প্রকল্প, রাজনৈতিক কার্যালয়, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে।
ডিএনসিসি বলছে, যারাই অবৈধভাবে খাল দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
![](https://www.shokalshondha.com/wp-content/uploads/2024/06/dncc-eviction-sadeek-agro-270614-02-1024x683.jpg)
উচ্ছেদ অভিযানে যা হলো সারাদিন
সাদিক এগ্রোতে অভিযানের খবরে সকাল থেকেই স্থানীয়রা জড়ো হতে থাকে সাদিক এগ্রোর সামনে। অনেককেই সেই ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগলের সঙ্গে ছবিও তুলতে দেখা যায়। অভিযানের আগেই একটি শেডের গরু সাদিক এগ্রো সরিয়ে নিয়েছিল। অভিযানের সময় আরেকটি শেডে ছিল ছাগল, ভেড়া ও গাড়ল।
সাদিক এগ্রো এই শেডের কিছুই সরায়নি সকালে। তবে ভোর থেকেই খামারটির পেছনের বস্তির মানুষ তাদের ঘরের আসবাবপত্র, টিন ও বাঁশ সরাতে থাকে।
দুপুর ১২টার দিকে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা সাদিক এগ্রোয় পৌঁছায়। সেসময় সাদিক এগ্রোর জমির মালিক আব্দুল আলীমের ভাগ্নে মো. ইউসুফ জমির দলিল নিয়ে উপস্থিত হন। অভিযান নেতৃত্ব দেওয়া ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম মোতাকাববীর আহমেদকে তারা তাদের দলিল দেখান, তাদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা হয়। তারপরই মোতাকাববীর অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন।
অভিযানের প্রথমে অনেকে মনে করছিলেন, সাদিক এগ্রোর অফিসের একটি অংশ ভাঙা পড়বে। কিন্তু পরে জানা যায়, অফিস সংলগ্ন দুটি শেডও খাল দখল করে বানানো হয়েছে। অভিযানে অফিসসহ সব শেডই ভাঙা হয়েছে। এরই মাঝে আলোচিত ছাগলসহ সব পশু ওই শেড থেকে সরিয়ে নেয় সাদিক এগ্রোর লোকজন।
ডিএনসিসি পাশাপাশি সময়ে গাবতলী-সদরঘাট বেড়িবাঁধ সড়কের পাশে মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ৭ নম্বর সড়কে সাদিক এগ্রোর আরেকটি খামারও উচ্ছেদ অভিযান চালায়। খামারের পাশে থাকা অন্যান্য অবৈধ স্থাপনাও ভাঙা হয়।
![](https://www.shokalshondha.com/wp-content/uploads/2024/06/dncc-eviction-sadeek-agro-270614-01-1024x683.jpg)
‘ছাগলকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্ক নেই’
উচ্ছেদ অভিযান চলার একপর্যায়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএনসিসির নির্বাহী হাকিম মোতাকাববীর আহমেদ।
উচ্ছেদ অভিযানের সঙ্গে ছাগলকাণ্ডের কোনও সম্পর্ক আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নই। যাদের স্থাপনা খালের মধ্যে এসেছে আমরা তাদের উচ্ছেদের কার্যক্রম চালাচ্ছি। খাল উদ্ধার সিটি করপোরেশনের ধারাবাহিক কাজ। এর আগেও আমরা বসিলার দিকে খালের অংশে বাসস্ট্যান্ড সরিয়েছি। আমরা ধারাবাহিকভাবে খালগুলো উদ্ধার করার কাজ করে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমরা কাগজপত্র দেখে যেটা বুঝেছি তা হলো, এখানে ১ বিঘার মতো জায়গা খালের উপর। উনি বলতে চাচ্ছিলেন মাত্র ৪ শতাংশ। কিন্তু আমাদের সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার আছেন, সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আছেন। আমরা দেখেছি তারা ভুল বলছে। সেই হিসাবেই উচ্ছেদ অভিযান চলছে।”
জমির মালিক কী বলেছেন- জানতে চাইলে মোতাকাববীর বলেন, “উনি বলতে চাচ্ছিলেন, আমরা নোটিস দিইনি। আমরা গত মাসের ১৮ তারিখ তাকে নোটিস দিয়েছি। তারা কোনও উত্তর দেননি। আমরা আগেই এই অভিযান পরিচালনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ঈদ বলে করিনি। কারণ এর ভোক্তা পর্যায়ে একটি প্রভাব আছে। তাই আমরা এখন এই অভিযান চালাচ্ছি।”
তবে সাদিক এগ্রোতে অভিযান চালানোর পেছনে ছাগলকাণ্ডের একটি প্রভাব আছে বলে মনে করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার আসিফ আহমেদ।
উচ্ছেদ অভিযান চলার সময় এক প্রশ্নে সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “আমাদের এখানে বছিলার দিকে কাজ চলছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকলে বছিলার কাজই চলত। আমরা ওটা বন্ধ করে আজকে এদিকে অভিযান চালাচ্ছি। এমন অবস্থা না হলে হয় তো বা ৭-১০ দিন পর এদিকে আসা হতো।”
![](https://www.shokalshondha.com/wp-content/uploads/2024/06/dncc-eviction-sadeek-agro-270614-03-1024x682.jpg)
খালের এমন দশা যেভাবে
স্থানীয়রা বলছেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভাঙা মসজিদ সংলগ্ন খালের ওই অংশে মাটি ভরাট করে একটি ট্রাক টার্মিনাল করা হয়। এরপর একে একে রামচন্দ্রপুর খালের বিভিন্ন স্থানে দখল হতে থাকে।
তবে খালটি আরও আগেই মরতে শুরু করেছিল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, ১৯৮৮ সালের বন্যার পরে বেড়িবাঁধ সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে মূল রামচন্দ্রপুর খালের সঙ্গে মোহাম্মদপুর অংশের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে উজান থেকে ভাটির দিকে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। খালে দখলদারদের দৌরাত্ম্য তখন থেকেই শুরু হয়।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে মোহাম্মদপুর বছিলার লাউতলা এলাকায় খালের ওপর গড়ে ওঠা ট্রাকস্ট্যান্ডটি উচ্ছেদ করে খাল উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করে ডিএনসিসি। খনন কাজ শেষে মেয়র আতিকুল ইসলাম নৌভ্রমণও করেছিলেন। তবে পুরো খাল উদ্ধারে ডিএনসিসিকে তেমন তৎপর দেখা যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
![](https://www.shokalshondha.com/wp-content/uploads/2024/06/al-office-on-ramchndrapur-khal-270614-01-1024x461.jpeg)
আছে আবাসন প্রকল্প, আওয়ামী লীগের অফিস
রামচন্দ্রপুর খালটির শুরু মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকার লাউতলা খাল থেকে। সেখান থেকে মোহাম্মদিয়া হাউজিং হয়ে শেখেরটেকের পেছন দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তুরাগ নদীতে গিয়ে মিশে খালটি।
এখন বেশ কয়েকটি আবাসন প্রকল্প ওই খােলর ওপর করা। তারমধ্যে রয়েছে- মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান, সাতমসজিদ আবাসিক এলাকা হয়ে নবীনগর হাউজিং, জেমকন সিটি, মোহাম্মদী হাউজিং, রাজধানী উদ্যান, চন্দ্রিমা হাউজিং, বছিলা গার্ডেন সিটি ও দয়াল হাউজিং।
খালটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ১০ কিলোমিটার; প্রস্থ কোথাও ৪০ ফুট, কোথাও ২০ ফুট। লাউতলার একটু পরেই রামচন্দ্রপুর খালের একটি শাখা বছিলা ফিউচার পার্ক, বছিলা গার্ডেন সিটি, সূচনা হাউজিং, বছিলা মডেল টাউন, শাহজালাল হাউজিং ও বছিলা সিটি ডেভেলপারের পাশ দিয়ে বুড়িগঙ্গায় মিলেছে। স্থানীয়ভাবে এটি বছিলা উত্তরপাড়া খাল নামে পরিচিত।
খাল দখল করে হয়েছে আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৩নং ওয়ার্ড শাখার একটি অফিস। ওই অফিসের আশপাশে রয়েছে রিকশার গ্যারেজ, রিকশাচালকদের থাকার ঘর, টং দোকান, রান্নাঘরসহ বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা।
সাদিক এগ্রোতে উচ্ছেদ অভিযান চলার সময় রিকশা গ্যারেজের মালিক, টং দোকানি ও বস্তির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফের অনুমতি নিয়ে ওই জায়গায় থাকছেন, ব্যবসা করছেন। এজন্য মাসে কাউন্সিলরকে টাকাও দিতে হয়। স্থাপনা নির্মাণেও সবাইকে এককালীন কিছু টাকা দিতে হয় বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
![](https://www.shokalshondha.com/wp-content/uploads/2024/06/ulab-on-ramchndrapur-khal-270614-01.jpg)
খালের ওপর ইউল্যাব
রামচন্দ্রপুর খালের দখল নিয়ে ২০১৯ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। তাতে বলা হয়, রামচন্দ্রপুর খালের প্রবাহ গাবতলী হয়ে দক্ষিণ দিকে বেড়িবাঁধের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
একসময় খালটির একাংশ ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্ট বাংলাদেশের (ইউল্যাব) মধ্য দিয়েও প্রবাহিত হতো। ইউল্যাব রামচন্দ্রপুর খালের ওপর সড়ক নির্মাণ করেছে এবং স্থায়ী দেয়াল দিয়ে খালটিকে দুই অংশে বিভক্ত করে ফেলেছে।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর পাঁচ বছর পেরুলেও ইউল্যাব সরেনি সেখান থেকে।
ইউল্যাবের ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সভাপতি কাজী আনিস আহমেদ। তার বড় ভাই কাজী নাবিল আহমেদ জেমকন গ্রুপের পরিচালক এবং যশোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।
খাল দখলের অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে তাদের দুজনের সঙ্গেই মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে সকাল সন্ধ্যা। কেউই সাড়া দেননি।
এনিয়ে পরে কথা হয় ইউল্যাব উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমানের সঙ্গে। তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “অভিযোগটি মনে হয় সত্য না। আমরা সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গার নিয়ম মেনেই করেছি। তারপরও আমি খোঁজ নিয়ে দেখব। কিন্তু এরকম হওয়ার কথা না।”
![](https://www.shokalshondha.com/wp-content/uploads/2024/06/dncc-eviction-sadeek-agro-270614-04-1024x683.jpg)
‘অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে’
শুধু রামচন্দ্রপুর খাল নয়, ঢাকা উত্তরের সব খাল থেকেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাববীর আহমেদ।
সাদিক এগ্রোয় উচ্ছেদ অভিযানের সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আপনারা দেখেছেন সিটি করপোরেশন খাল পুনঃউদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণের চেয়ে উত্তরে খালের সংখ্যা বেশি। আমাদের মেয়র স্যার খাল উদ্ধারের বিষয়ে সিরিয়াস। আমরা ধীরে ধীরে সব খালই উদ্ধার করতে চাই।
“আমাদের লোকবলের অভাব আছে। ফলে একসঙ্গে সব করা যাচ্ছে না। কিন্তু আমাদের অভিযান চলতে থাকবে। যারাই খাল দখল করে ভবন বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান করেছেন তাদের সবাইকেই উচ্ছেদ করা হবে।”
![](https://www.shokalshondha.com/wp-content/uploads/2024/06/dncc-eviction-sadeek-agro-270614-05-1024x461.jpeg)
একই কথা জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার আসিফও।
সাদিক এগ্রোয় অভিযান চলাকালে সকাল সন্ধ্যার এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে খাল উদ্ধার করতে হবে। আমরা সেই কাজ করে যাচ্ছি। এতদিন এসব খালের দায়িত্ব ছিল ওয়াসার। তাই আমরা কিছু করতে পারি নাই। এখন খালগুলোর দায়িত্ব আমরা পেয়েছি। আমরা তাই উদ্ধারের কাজ করছি।”
২০২০ সালে ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে খালগুলোর দায়িত্ব বুঝে নেয় ডিএনসিসি। এরপর খাল উদ্ধারে নানা সময়ে অভিযানে দেখা গেছে মেয়র আতিককে।
খাল উদ্ধার কার্যক্রম কিছুটা ধীরে চললেও সামনে গতিশীল হবে বলেও জানান কাউন্সিলার আসিফ। তিনি বলেন, “খাল খনন করতে পারছিলাম না। কারণ এই মাটি কোথায় ফেলব, তা ঠিক হয়নি। এখন আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে কার্যক্রম এখন অনেক গতিশীল হবে।”
সাদিক এগ্রোর পাশে পার্টি অফিস, রিকশার গ্যারেজ, টং দোকান ও বস্তি কাউন্সিলর আসিফের অনুমতি নিয়ে গড়ে ওঠার এবং সেখান থেকে তাকে মাসে মাসে টাকা দেওয়ার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সে বিষয়েও সকাল সন্ধ্যা প্রশ্ন করে আসিফকে।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “এগুলো মিথ্যা অভিযোগ। মানুষ কত কথা বলে। আমাদের ওই অফিস একটি শাখা কমিটির অস্থায়ী অফিস। ওটাও তুলে নেওয়া হবে।”