Beta
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় জোর ড. ইউনূসের

ড. মুহাম্মদ ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
[publishpress_authors_box]

চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে শান্ত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকার।

মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভ্যারিফায়েড ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানানো হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।

এপিপি হত্যাকাণ্ডে নিন্দা জানিয়ে সবাইকে শান্ত থাকতে এবং কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে দূরে থাকতে আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসগুলোকে চট্টগ্রাম বন্দরসহ নগরী সব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

এর আগে দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে নিহত হন এপিপি সাইফুল ইসলাম আলিম। তার লাশ উদ্ধারের আগে ঘটনাস্থল উত্তপ্ত ছিল বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও তাকে কারাগারে পাঠানো নিয়ে।

বিচারক চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে যখন পুলিশ তাকে প্রিজন ভ্যানে তোলে তখন আদালত প্রাঙ্গণেই গাড়িটি তিন ঘণ্টা আটকে রাখেন তার ভক্ত ও অনুসারীরা।

তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ, লাঠিপেটাও করা হয়। পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা।

পুলিশ সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দিলে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় এপিপি সাইফুলের রক্তাক্ত লাশ। তার লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এই মৃত্যু।

সাইফুল ইসলাম কীভাবে মারা গেছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

এই মৃত্যু ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা। চট্টগ্রামের আইনজীবীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার আদালত বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ঢাকা আইনজীবী সমিতি দোষীদের গ্রেপ্তারে বেঁধে দিয়েছে ২৪ ঘণ্টা সময়।

এর মধ্যে দোষীরা গ্রেপ্তার না হলে আদালতসহ সবকিছু অচলের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন আইনজীবীরা।

অন্যদিকে চিন্ময় কৃষ্ণ যে সংগঠনের সমন্বয়ক সেই বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে মিথ্যার মামলার। চিন্ময় স্বামীর বিরুদ্ধে হওয়া এই মামলা তুলে নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের প্রতিনিধি হিন্দু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি সুমন কুমার রায় বলেন, “চট্টগ্রামের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছে একটি গোষ্ঠী।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত