ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সিজারিয়া শহরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলার বিষয়টি তার মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মুখপাত্র জানান, হামলার সময় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ওই এলাকাতেই ছিলেন না এবং ড্রোন হামলায় কেউ হতাহত হয়নি।
সিজারিয়া শহরের বাড়িটিতে নেতানিয়াহু সব সময় থাকেন না। এই বাড়িতে মাঝে মাঝে অবকাশ যাপন করেন তিনি।
এর আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, লেবানন থেকে আসা একটি ড্রোন সিজারিয়া শহরের একটি ভবনে আঘাত হেনেছে। তবে কোন ভবনে ড্রোনটি আঘাত হেনেছে, সে বিষয়ে তখন পরিষ্কার করে কিছু জানানো হয়নি।
এরসঙ্গে আরও দুটি ড্রোন ছোড়া হয়েছিল জানিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, ওই ড্রোন দুটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করা হয়েছে।
সিজারিয়া শহরে বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ও পুলিশ বাহিনীও। তারা জানায়, উপকূলীয় শহর সিজারিয়ায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে এতে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সঙ্গেও যুদ্ধে জড়িয়েছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহ এবং তার সম্ভাব্য উত্তরসূরিসহ লেবাননে কয়েক হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
বিমান হামলার পাশাপাশি লেবাননে স্থল অভিযানও চালাচ্ছে ইসরায়েল। হিজবুল্লাহও তাদের সাধ্যমতো জবাব দিচ্ছে। স্থল অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার পাশাপাশি ইসরায়েলে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ। এতে ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও প্রাণহানি ঘটছে।
এর ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলার খবর মিলল। তবে নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলার চালানোর বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে স্বীকার করেনি হিজবুল্লাহ।
হিজবুল্লাহর ডেপুটি কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের বিনতে জাবেইল এলাকায় বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর ডেপুটি কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, নিহত হিজবুল্লাহর ডেপুটি কমান্ডারের নাম নাসের আবেদ আল-আজিজ রশিদ। তিনি ‘ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে’ সম্পৃক্ত ছিলেন।
তবে তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।