চোট সারিয়ে আবারও গলফ কোর্সে ফিরেছেন সিদ্দিকুর রহমান। এরই মধ্যে চীনা তাইপেতে খেলেছেন এশিয়ান ট্যুরের দুটি টুর্নামেন্ট। গত ২৬-২৯ সেপ্টেম্বর লিনকোউ ইন্টান্যাশনাল গলফ ও কান্ট্রি ক্লাবে ইয়েনদার টিপিসি টুর্নামেন্টে খেলেছেন প্রথমে। এরপর খেলেছেন তাইওয়ান গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে মারকিউরিস তাইওয়ান মাস্টার্স টুর্নামেন্টে।
আগামী দুই মাস ভীষণ ব্যস্ততায় সময় কাটবে সিদ্দিকুরের। ঠাসা সূচীর কারণে থাকবেন একটার পর একটা খেলার মধ্যে। আগামী ১০ অক্টোবর ম্যাকাওয়ে শুরু হবে এসজিএম ম্যাকাও ওপেন। এরপর থাইল্যান্ডে পরপর দুটি টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন তিনি। প্রথমটি হবে ব্লাক মাউন্টেন চ্যাম্পিয়নশিপ, ১৭-২০ অক্টোবর। পরেরটি ইন্টারন্যাশনাল সিরিজ থাইল্যান্ড ২৪-২৭ অক্টোবর, থাই কান্ট্রি ক্লাবে।
৩১ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর সিদ্দিকুর খেলবেন ইন্দোনেশিয়ার রয়্যাল জাকার্তা গলফ ক্লাবে। সেখানে অংশ নেবেন বিএনআই ইন্দোনেশিয়ান মাস্টার্সে। এরপর ১৪-১৭ নভেম্বর চীনা তাইপেতে তাইফং গলফ ক্লাবে খেলবেন তাইওয়ান গ্লাস তাইফং ওপেন। পরের টুর্নামেন্ট হংকংয়ে, ২১-২৪ নভেম্বর। খেলবেন এলআইএনকে হংকং ওপেনে।
এসব টুর্নামেন্টে খেলতে কোনও সমস্যা নেই সিদ্দিকুরের। কিন্তু ভিসা জটিলতায় কাতারে যাওয়া নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছেন সিদ্দিকুর। আগামী ২৭-৩০ নভেম্বর দোহায় হবে ইন্টারন্যাশনাল সিরিজ কাতার। এই টুর্নামেন্টের প্রাইজমানির অঙ্কটা বেশ বড়। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ কোটি।
কিন্তু সেখানে খেলতে যাওয়া নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন সিদ্দিকুর। বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা দিচ্ছে না কাতার। ম্যাকাও থেকে সকাল সন্ধ্যাকে টেলিফোনে সিদ্দিকুর বলেন, “কাতারের দূতাবাস আমাকে ভিসা দিচ্ছে না। কিন্তু ওরা আমাকে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটা চিঠি কাতারে দেওয়া হলে ভিসা পেতে পারি। আমি চেষ্টা করছি এই চিঠি যোগাড়ের। চিঠিটি না পেলে হয়তো এত বড় মাপের টুর্নামেন্টে খেলা হবে না।”
ভিসা সমস্যার মুখোমুখি এবারই প্রথম পড়লেন না সিদ্দিকুর। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভিসা জটিলতায় ওমানে খেলতে যেতে পারেননি। সেবার ওমানে আন্তর্জাতিক গলফ টুর্নামেন্ট ওমান ইন্টারন্যাশনাল সিরিজে খেলার কথা ছিল সিদ্দিকুরের।